AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mahalaya: করোনায় অনটনের মেঘ, টিফিনের টাকা জমিয়ে অনাথদের মুখে হাসি ফোটাল পড়ুয়ারা

Mahalaya: করোনা কষ্ট দেখেই পাশে দাঁড়ানোর ভাবনা, ক্লাস টেনের পড়ুয়াদের সাহায্যার্থেই নতুন জামা পেয়ে মুখে হাসি ফুটল অনাথ শিশুদের।

Mahalaya: করোনায় অনটনের মেঘ, টিফিনের টাকা জমিয়ে অনাথদের মুখে হাসি ফোটাল পড়ুয়ারা
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2022 | 7:15 PM
Share

কাকদ্বীপ: খুব কাছ থেকে জীবনের লড়াই দেখে ছিল তারা। বিশেষত কোরোনার সময় বেশ কয়েকজন বন্ধু পড়াশোনাই ছেড়ে দিয়েছিল। আর ফেরেনি স্কুলে। কিন্তু কেন? পরবর্তীতে সেই সমস্ত বন্ধুদের কাছ থেকে তারা জানতে পারে করোনাই বিপর্যয় ডেকে এনেছিল তাদের জীবনে। করোনা কোপে কেউ হারিয়েছে বাবা, কারও আবার মা ছেড়ে চলে গিয়েছে। করোনার কারণে আবার কারও পরিবারের সদস্য কাজ হারিয়েছেন। তীব্র অনটনে দিন কাটছে অনেকের। এই ছবি দেখেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার কাকদ্বীপের শিশু শিক্ষায়তন হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ১৫ জন ছাত্রছাত্রী শপথ নিয়েছিল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। 

এরপর থেকেই একটু একটু করে টিফিনের টাকা জমাতে শুরু করে ওই ১৫ পড়ুয়া। কিন্তু, তাদের ওই অল্প টাকায় কীভাবে পাশে দাঁড়ানো যাবে সমাজের অসহায় মানুষদের? আর সে কারণেই নতুন পরিকল্পনা করতে তারা ছুটে যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে। তাদের ভাবনার কথা তাঁরা খুলে বলেন তাঁর কাছে। এদিকে নিজের স্কুলের পড়ুয়াদের এই ভাবনা দেকে অভিভূত হয়ে যান তিনি। কালবিলম্ব না করে দ্রুত তিনি স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াদের এই কাজে সামিল করার কথা বলেন। গুরু আদেশ পেয়ে দ্রুত ক্লাসে ক্লাসে ক্য়াম্পেন শুরু করেন ওই পড়ুয়ারা। শুরু হয় মানবসেবার এক অভিনব অভিযান। তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ায় স্কুলের অন্যান্য ক্লাসের বন্ধুরা। ধীরে ধীরে ফান্ডে জমা হয়ে যায় ৭ হাজার টাকা। 

এরপরই তারা সিদ্ধান্ত নেয় পুজোর আগে একটি অনাথ আশ্রমে গিয়ে শিশুদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেবে। যেই ভাবা সেই কাজ। ঠিক হয় মহালয়ার দিনেই তারা এই শুভ কাজ করবেন। অবশেষে মহালয়ার দিন শিশু শিক্ষায়তন হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অ্যাঞ্জেল চিল্ড্রেন হোমের আবাসিকদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেয়। এদিন হোমের প্রায় ২০ জন আবাসিকের হাতে এই নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। পুজোর আগে নতুন বস্ত্র পেয়ে খুশি অনাথ আশ্রমের শিশুরাও।