Jamaluddin Sardar arrested: ‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা বাইট দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি’, ধরা পড়েও ‘দামাল’ জামাল

Supriyo Guha | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jul 20, 2024 | 6:22 PM

Jamaluddin Sardar arrested: বাড়িতেই সালিশিসভা বসাতেন জামালউদ্দিন সর্দার। তাঁর বাড়ি দেখলে চমকে উঠবেন যে কেউ। একের পর এক অভিযোগ ওঠার পর থেকে বেপাত্তা ছিলেন জামাল। শুক্রবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও নরেন্দ্রপুর থানার সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Jamaluddin Sardar arrested: আমার বিরুদ্ধে যাঁরা বাইট দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, ধরা পড়েও দামাল জামাল
এদিন বারুইপুর আদালতে তোলা হয় জামালকে

Follow Us

বারুইপুর: বাড়িতেই বসাতেন সালিশিসভা। সেখানে তিনি ছিলেন ‘বিচারক’। সোনারপুরের সেই ‘দামাল’ জামালকে এবার উঠতে হল বিচারের কাঠগড়ায়। তবে তিনি দমবার পাত্র নন। পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে বললেন, যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে বাইট দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। উল্টে তাঁর দাবি, সরকারি জায়গায় ওইসব ব্যক্তি বাড়ি করে রয়েছেন।

গত মঙ্গলবার প্রথম প্রকাশ্যে আসে সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের ‘কীর্তি’। বিচারের নামে এক মহিলাকে ডেকে শিকলে বেঁধে অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে জামালের বিরুদ্ধে। তারপর একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। এক মহিলা অভিযোগ করেন, তাঁদের পারিবারিক সমস্যা মেটানোর নামে তাঁর স্বামীকে শিকল দিয়ে বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে মারধর করেছেন জামাল। এমনকি, তিনি বাঁচাতে গেলে তাঁকে লোহার শিকল দিয়ে মারধর করা হয়।

বাড়িতেই সালিশিসভা বসাতেন জামাল। তাঁর বাড়ি দেখলে চমকে উঠবেন যে কেউ। একের পর এক অভিযোগ ওঠার পর থেকে বেপাত্তা ছিলেন জামাল। শুক্রবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও নরেন্দ্রপুর থানার সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মারধর, জোর করে আটকে রাখা, খুনের চেষ্টা, শ্লীলতাহানি, তোলাবাজি-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

এদিন সোনারপুর থানা থেকে বারুইপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় জামালকে। সেইসময় জামাল দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয়। যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে বাইট দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। জামালের দাবি, যাঁরা সরব হয়েছেন, তাঁরাই সরকারি জমি দখল করে রয়েছেন। বললেন, “সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”

এদিন আদালতে জামালের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। তিনি বলেন, পুলিশের তরফে যে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে, সেগুলো যথাযথ নয়। টাকার জন্য তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু টাকার লেনদেনের কোনও প্রমাণ নেই বলেই জামালের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন। পাশাপশি পুলিশের তরফে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেন জামালের আইনজীবী। তিনি বলেন, কোনও নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পুলিশ দেখাতে পারেনি। পুলিশের তরফে জামালের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। শেষমেশ ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Next Article