ক্যানিং: কলকাতার উপকন্ঠে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় প্রতি দিন বেড়েই চলেছে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। দাহ করতে পড়ছে মৃতদেহের লাইন। এরই মধ্যে চুল্লি বিকল হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়েছে আক্রান্তদের পরিবার।
মৃতদেহ দাহ করার জন্যই ক্যানিংয়ের মাতলা নদীর পাড়ে নির্মিত নতুন বৈদ্যুতিক চুল্লিকে ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরে মৃতদেহের লাইন দীর্ঘ হতে থাকায় পরবর্তী সময়ে বারুইপুরের কীর্তনখোলা শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিকেও করোনার মৃতদেহ দাহ করার কাজে ব্যবহার শুরু করা হয়। কিন্তু প্রায় একই সঙ্গে ক্যানিং ও বারুইপুরের দুটি চুল্লি বিকল হয়ে যাওয়ায় কারণে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে মৃতদেহ দাহ করার ক্ষেত্রে। যদিও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানিয়েছেন, বৈদ্যুতিক চুল্লি দুটি দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে। দাহ করার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না তৈরি হয় সেই কারনেই পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতেও কাঠের চুল্লি আরও বেশি করে বাড়ানো হয়েছে।
এমনিতেই এই জেলায় প্রত্যেকদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে হাজারের কাছাকাছি মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে তৈরি করা হয়েছে ১০০ বেডের করোনা হাসপাতাল। ক্যানিংয়ের স্পোর্টস কমপ্লেক্সে চলছে ৫৫ বেডের একটি করোনা হাসপাতাল। এছাড়া ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন জমিতে তৈরি হওয়া একটি বিল্ডিংয়ে আরও একটি ২৫০ বেডের করোনা হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। রয়েছে ক্যানিং, বারুইপুর ও জয়নগরে ৫০ টি করে পৃথক বেডের সেফ হোম। ইতিমধ্যেই শুধু বারুইপুর করোনা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের বেশি করোনা আক্রান্তের। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তাই উদ্বেগ বাড়ছে জেলা প্রশাসনের।