Govt School Closed: স্কুলে পড়েছে তালা, বাড়িতে বসেই বেতন নিচ্ছেন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক

Govt School Closed: দিনের পর দিন স্কুলে ক্লাস হচ্ছে না দেখেই পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন অভিভাবকেরা।

Govt School Closed: স্কুলে পড়েছে তালা, বাড়িতে বসেই বেতন নিচ্ছেন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক
এই সেই স্কুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 5:25 PM

সাগর : কোথাও পড়ুয়া নেই, কোথাও নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। বাংলার সরকারি স্কুলগুলির (Government School) বেহাল দশা বারবার শিরোনামে উঠে আসছে। এবার শিক্ষকের অভাবে বন্ধই হয়ে গেল একটি স্কুল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের মায়াপুর জুনিয়র হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের দেখা পাওয়াই ভার। বেশ কিছুদিন ধরেই কমছিল পড়ুয়ার সংখ্যা। অবশেষে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২-তে এসে পৌঁছনোর পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল। অভিভাবকেরাও নিরূপায় হয়ে সন্তানদের অন্যান্য স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করছে। আপাতত ওই স্কুলের ভবিষ্যৎ কী, তা বলতে পারছেন না কেউ। স্কুল পরিদর্শককে প্রশ্ন করা হলেও কোনও স্পষ্ট উত্তর পাওয়া গেল না।

অভিযোগ, স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাই আপাতত বাড়িতে বসেই বেতন তুলছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন মণ্ডল গত এক বছর ধরে স্কুলে আসছেন না। ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ স্কুলটি চালু হয়। সেই সময় ছিলেন দুজন শিক্ষক শিক্ষিকা এবং তিনজন অস্থায়ী শিক্ষক ছিলেন। তখন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই।

পরবর্তীকালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোরঞ্জন মণ্ডল স্কুলে যোগ দেওয়ার পর এক শিক্ষিকা বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান। ফলে স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা হয় চারজন। অভিভাবকেরা জানাচ্ছে, প্রধান শিক্ষক খেয়ালখুশি মতো স্কুলে আসতেন। কখনও বলতেন বাড়ির কাজ, কখনও বলতেন পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা। ক্লাস হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নাকি কোনও গুরুত্বই দিতেন না তিনি। এমতাবস্থা একে একে অস্থায়ী শিক্ষকেরাও স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। ফলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমতে কমতে ১২ জনে ঠেকে।

বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসায় তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলটি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তা সম্ভব হয়নি। সাগর উত্তর চক্রের স্কুল পরিদর্শক মতিয়ার রহমানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছেন বিষয়টি।