Sundarban: ভিন দেশের জলসীমা কাছে এলেই আসবে সঙ্কেত, গভীর সমুদ্রে অজানা বিপদের হাত থেকে মৎস্যজীবীদের বাঁচাতে মাঠে ISRO
Sundarban: কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকায় কমবেশি প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৩০০টি ট্রলারে এই অত্যাধুনিক যন্ত্র লাগানো হচ্ছে বলে খবর। খুশি মৎস্যজীবীরা।

কাকদ্বীপ: পদে পদে লুকিয়ে বিপদ। তাও তাঁরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যান গভীর সমুদ্রে। এবার মৎস্যজীবীদের সুরক্ষা দিতে কাজে লাগানো হচ্ছে ইসরোর প্রযুক্তি। এদিকে প্রত্যেক বছর ১৫ ই এপ্রিল থেকে ১৪ ই জুন পর্যন্ত ৬১ দিন সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে। মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য জেলা মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবী সংগঠন ও ট্রলার মালিকদের ‘ব্যান পিরিয়ড’ মেনে চলার নির্দেশ আসে। এবারও আসে। তাই আপাতত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাচ্ছেন না কেউই। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠলেই আগামী ১৫ জুন থেকে সুন্দরবনের উপকূলের ঘাটগুলি থেকে বঙ্গোপসাগরের জলে ভাসবে মৎস্যজীবীদের শয়ে শয়ে ট্রলার। কিন্তু এবার মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কাজে লাগানো হচ্ছে ইসরোর প্রযুক্তি-কে।
ইতিমধ্যেই স্যাটেলাইট বেসড মেরিটাইম সেফটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম ডিভাইস অর্থাৎ ট্রান্সপন্ডার লাগানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমার ট্রলারগুলিতে। গভীর সমুদ্রে যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করে না সেখানে এই মেশিনের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র থেকে যে কোনও বিপদ সঙ্কেত উপকূলে পাঠানো যাবে। পাশাপাশি ভারতীয় জলসীমা থেকে বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করার পূর্বেই ট্রলারে সঙ্কেত পাঠাবে এই অত্যাধুনিক যন্ত্রটি।
শুধু তাই নয়, মাছ ধরার সময়েও এই ডিভাইসের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা পাবেন মৎস্যজীবীরা। সমুদ্রে মাছের ঝাঁক কোথায় রয়েছে তাও বোঝা যাবে এই ডিভাইসের সাহায্যে। সূত্রের খবর, কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকায় কমবেশি প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৩০০টি ট্রলারে এই অত্যাধুনিক যন্ত্র লাগানো হচ্ছে। ধাপে ধাপে বাকি ট্রলারগুলোতেও এই অত্যাধুনিক যন্ত্র লাগানো হবে বলে মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে।
