Kakdwip: ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে সাসপেন্ড সহকারি সিস্টেম ম্যানেজার
Kakdwip: বিধায়কের আরও অভিযোগ, কাকদ্বীপ বিধানসভার তিনটি পঞ্চায়েতে ২০২২ সালের পর থেকে অস্বাভাবিক হারে ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি কর্মচারিদের একাংশের যোগসাজশে এই কারচুপি চলছে বলে অভিযোগ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছেন কাকদ্বীপ মহকুমার সহকারি সিস্টেম ম্যানেজার অরুণ গড়াই। কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার করা অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমা ও জেলা প্রশাসন তদন্ত করে এই কারচুপি ধরে। এই সাসপেনশনের পর সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ও একটা চক্র জড়িত বলে দাবি তৃণমূলের।
বিধায়কের আরও অভিযোগ, কাকদ্বীপ বিধানসভার তিনটি পঞ্চায়েতে ২০২২ সালের পর থেকে অস্বাভাবিক হারে ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি কর্মচারিদের একাংশের যোগসাজশে এই কারচুপি চলছে বলে অভিযোগ। তবে বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, যে এলাকায় তৃণমূল লোকসভায় পিছিয়ে রয়েছে, সেখানে বিজেপি ভোটারদের টার্গেট করা হচ্ছে। এরা মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষ।
কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই কারচুপির ঘটনায় নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ৩ জন সরকারি কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৩০ জন ভুয়ো ভোটারের নাম তালিকা থেকে ইতিমধ্যে বাদ দেওয়া হয়েছে। কাকদ্বীপে অস্বাভাবিক ভোটার বৃদ্ধি ও ভুয়ো ভোটারের বিষয়ে নজর রাখছে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “আমরা বরাবরই বৈধ ভোটারের পক্ষে। কিন্তু কিছু গরমিল দেখা যাচ্ছে। সঠিক তদন্তের জন্য জেলাশাসককে অনুরোধ করেছিলাম। তদন্তে কী উঠে আসছে, তা নিয়ে বলার কিছু নেই। প্রতিটি বৈধ ভোটারের পক্ষে রয়েছি। কোনও বৈধ ভোটারের নাম কাটা যাবে না। তবে কোনও অবৈধ ভোটারের নাম যাতে তালিকায় যুক্ত না হয়, সেটাও প্রশাসনকে নজরে রাখতে হবে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি সীমান্ত মালি বলেন, “এসডিও রিটার্নিং অফিসার। অরুণ গড়াই, আমাদের সিস্টেম ম্যানেজার, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ওঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হয়েছে। সাসপেন্ড করেছেন।”





