Madhyamik Exam: অ্যাডমিট কার্ড নেই, ছাত্রীকে পরীক্ষা হলে পৌঁছে দিলেন শাহজাহান

Satyajit Mondal | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 02, 2024 | 5:29 PM

Madhyamik Exam: নির্দেশ ছিল, আধ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড এনে করে পরীক্ষায় বসতে হবে ওই ছাত্রীকে। শোনা মাত্রই নারায়ণপুর থেকে বেশ খানিকটা দূরে ভোজেরহাটের সারদা বিদ্যাপীঠে চলে আসে শশিমা ওরাও। কিন্তু, সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ড না থাকায় নিজের স্কুলেও ঢুকতে পারেনি ওই ছাত্রী।

Madhyamik Exam: অ্যাডমিট কার্ড নেই, ছাত্রীকে পরীক্ষা হলে পৌঁছে দিলেন শাহজাহান
পুলিশের উদ্যোগে খুশি ছাত্রীর পরিবারের লোকজন
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

ভাঙড়: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। সেই মাধ্যমিক দিতে গিয়ে টেনশনে অনেকেই ভুলভ্রান্তি করে থাকে। ছোটখাটো থেকে অনেক সময় বড়সড় ভুলও হয়ে যায়। ঠিক তেমনই একজন ভাঙড়ের শশীমা ওরাও। স্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড তুললেও অ্যাডমিট কার্ড নেয়নি। শুক্রবার প্রথম পরীক্ষার দিন সে শুধু রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিয়েই পরীক্ষা দিতে যায় নারায়ণপুর হাইস্কুলে। কিন্তু, অ্য়াডমিট কার্ড না থাকায় পরীক্ষায় বসতে দেননি দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় অ্য়াডমিট কার্ড পেলে তবেই বসা যাবে পরীক্ষায়। পরীক্ষা কেন্দ্রে যখন শিক্ষকদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর কথাবার্তা চলছে তখন ঘড়িতে সময় সকাল সাড়ে ন’টা।

নির্দেশ, আধ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড এনে করে পরীক্ষায় বসতে হবে ওই ছাত্রীকে। শোনা মাত্রই নারায়ণপুর থেকে বেশ খানিকটা দূরে ভোজেরহাটের সারদা বিদ্যাপীঠে চলে আসে শশীমা ওরাও। কিন্তু, সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ড না থাকায় নিজের স্কুলেও ঢুকতে পারেনি ওই ছাত্রী। স্কুলের বাইরেই সে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। তখনই কর্তব্যরত পুলিশ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসে। সবকিছু শোনা বোঝার পর পোলেরহাট থানার পুলিশ ওই ছাত্রীকে নিয়ে স্কুলের ভিতরে অফিস রুমে যায়। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ড তুলে পোলেরহাট থানার সার্জেন্ট বিশ্বজিৎ সাহার নির্দেশে সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীকে নিজের বাইকে পৌঁছে দেয় নারায়ণপুর হাইস্কুলে।

পুলিশ কর্মী শাহজাহান মোল্লার বাইকে চড়ে পরীক্ষা শুরু হওয়ার দু-চার মিনিটের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছে যায় ওই ছাত্রী। খানিক ভয়ে থাকলেও পরীক্ষা দিতে আর কোনও সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শেষ করে হাসিমুখে হল থেকে বেরিয়েও আসে। তারপরেই পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই ঘটনায় আপ্লুত ছাত্রীর বাবা বামন দাস ওরাও। তিনি বলেন, কলকাতা পুলিশের সাহায্যের জন্যই আজ আমার মেয়ে নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারল। এ সাহায্য ভুলব না। ছাত্রীর পাশে থাকতে পেরে খুশি পোলারহাট থানার পুলিশ কর্মীরাও।

Next Article