মহেশতলা: আলদা বাড়ি ভাড়া করে থাকলেও দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতে মেহেরাজ আর মুসকানের। আজ এই তো কাল ওই! খুঁটিনাটি বিষয়ে তুমুল ঝামেলা হতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। গত বুধবার সেই দম্পতির সেই সংঘাত পৌঁছয় চরমে। মেহেরাজকে ছেড়ে মুসকান চলে যায় বাপের বাড়ি। স্ত্রী-কে ফেরাতে স্বামী গিয়ে ওঠেন শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু ঝগড়াতো মেটেইনি উল্টে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে জামাইকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এরপরই বাড়ি ফিরে এসে ভিডিয়ো কলে আত্মঘাতী হলেন স্বামী।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। সেখানে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আকরা জগন্নাথ নগর উত্তর খান পাড়ার বাসিন্দা মেহেরাজ খান ও তাঁর স্ত্রী মুসকান বিবি। দম্পতির এক পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, গত বুধবার স্বামী স্ত্রী-র মধ্যে অশান্তি হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভাড়া বাড়িতে এসে মেহেরাজকে মারধর করে পাশাপাশি মেয়ে মুসকানকে নিয়ে চলে যায় তাঁর বাবা।
এরপর মঙ্গলবার (গতকাল) বিকেলে মেহেরাজ তাঁর শ্বশুর বাড়িতে যায় ছেলে ও স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে। অভিযোগ, তখনও শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে তাঁকে। শুধু তাই নয়, তাঁর স্ত্রী বলেন, “তোর সাথে সংসার করব না। তুই গলায় দড়ি দিয়ে মর গে যা।” শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরে আকরার ভাড়া বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় মেহেরাজ। পরে শ্বশুরবাড়িতে ভিডিয়ো কল করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
ঘটনার পর প্রতিবেশী এক মহিলাকে মেহেরাজের শাশুড়ি ফোন করে খবর দেন তাঁদের জামাই ভিডিয়ো কল করে গলায় ফাঁস দিয়েছে। এই খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মহেশতলা থানায় জানায়। পুলিশ পৌঁছে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা মেহেরাজকে মৃত বলে ঘোষণা করে। প্রতিবেশী পারিজাত বিবি বলেন, “আমায় ওর শাশুড়ি ফোন করে বলে যে জামাই ভিডিয়ো কল করে আত্মহত্যা করেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে আরও কয়েকজনকে নিয়ে আসি। কিন্তু ওকে বাঁচানো যায়নি।”