AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

South 24 Parganas: ‘মাকে মেরে ফেলছে বাবা’, ঠাকুমার কাছে দৌড়ে গেল শিশু, হাড়হিম ঘটনা বাসন্তীতে

Husband kills wife: রাতে মইদুল তাঁর স্ত্রীকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। রাতেই বাসন্তী থানায় হাজির হন। ঘটনার কথা স্বীকার করেন। মইদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ মৃতদেহ কৃষ্ণনগর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে।

South 24 Parganas: 'মাকে মেরে ফেলছে বাবা', ঠাকুমার কাছে দৌড়ে গেল শিশু, হাড়হিম ঘটনা বাসন্তীতে
প্রতীকী ছবিImage Credit: Meta AI
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2025 | 9:27 PM
Share

বাসন্তী: মাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে মারছে বাবা। দেখে ফেলেছিল ছোট্ট শিশুটি। দৌড়ে গিয়েছিল ঠাকুমার কাছে। কিন্তু, ঠাকুমা কোনও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। এদিকে, নিজের স্ত্রীকে গামছার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার কৃষ্ণনগর এলাকায়। মৃতের নাম ময়না মোল্লা(৩২)। ধৃত স্বামীর নাম মইদুল মোল্লা। এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাসন্তী থানার পুলিশ মৃতের দেহ উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বছর আগে বাসন্তীর কৃষ্ণনগরের মইদুলের সঙ্গে বাসন্তীর আঠারোবাঁকির ময়নার বিয়ে হয়। দম্পতির এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। অভিযোগ, মইদুল একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। সেই খবর জানতে পারেন মইদুলের স্ত্রী ময়না। প্রতিবাদে সরব হন। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। কিছুদিন আগে বাপের বাড়িও চলে গিয়েছিলেন ময়না।

মঙ্গলবার শাশুড়ির কথায় শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন ময়না। সেটাই যেন কাল হল। রাতে মইদুল তাঁর স্ত্রীকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বলে অভিযোগ। রাতেই বাসন্তী থানায় হাজির হন। ঘটনার কথা স্বীকার করেন। মইদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ মৃতদেহ কৃষ্ণনগর গ্রাম থেকে উদ্ধার করে। বুধবার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।

মৃতের দাদা বলেন, “এর আগেও আমার বোনকে বেধড়ক মারধর করেছিল। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। কিছুদিন আগে আমার বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তারপর ছেলেমেয়েদের নিয়ে বোন আমাদের বাড়িতে চলে যায়। তারপর সালিশি সভা হয়। বিচ্ছেদের কথা হয়। গতকাল আমার বোনকে তার শাশুড়ি বলে, আজ এখানে থেকে যাও। এরপরই বোন শ্বশুরবাড়িতে ছিল। রাতে আমার বোন ঘুমিয়ে ছিল। সেইসময় ওর স্বামী গলায় গামছা পেঁচিয়ে মারে। বোনের ছোটছেলেটা জেগে গিয়েছিল। সে গিয়ে তার ঠাকুমাকে বলে, আমার মাকে মেরে দিচ্ছে। তখন আমার বোনের শাশুড়ি বলে, মেরে দিক। আমরাও বোনের স্বামীর ফাঁসি চাই।”