নরেন্দ্রপুর: ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় এবার গ্রেফতার এক শিক্ষক। বিদ্যালয়ের মধ্যেই সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় ১০ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুর থানায় নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ভোররাতে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকারই রানিয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দীর্ঘদিন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং বীরভূমে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় পুলিশ হানা দিলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এবং লোকাল সোর্স মারফত খবর পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা এবং তার গোপন জবানবন্দি হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীকে টিউশন পড়তে ডাকার নাম করে বাকি পড়ুয়াদের ঘর থেকে বার করে দিয়ে যৌন নিগ্রহ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। কাউকে কিছু জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর পরিবারকে গোটা বিষয়টি জানায় ছাত্রী। পরিবারের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর সেই বিষয়টি জানতে পেরেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য, নরেন্দ্রপুরে একটি স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় যখন উত্তাল হয়েছিল এলাকা, তখন অনেক শিক্ষক ‘প্রভাবশালী’ সেই প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। তিনি সেই বিক্ষোভকারীদের একজন। তার জেরেই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।