দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মায়ের ঘর ছেড়েছেন অনেক দিন আগেই। মেয়েকে নিয়ে অন্য পাড়ায় গিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন বাবা। একটাই ঘর, তাতে চৌকি একটাই। স্বাভাবিকভাবেই বাবার পাশেই ঘুমোত মেয়ে। কিন্তু নিজের বাবারই যে ঘৃণ্য আচরণের শিকার হবে সে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি কখনও। দিনের পর দিন মেয়ের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। শুধু তাই নয়, মেয়েটি যাতে কাউকে বিষয়টি না জানায়, তার জন্য তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত তার মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। তার স্ত্রী বছর চারেক আগে স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে চলে যায়। সেই থেকে বাবার কাছেই থাকত মেয়ে।
অভিযোগ, সম্প্রতি প্রায় প্রতি রাতেই মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন করত বাবা। লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে মুখ খোলেনি মেয়ে। পরে এক প্রতিবেশীর কাছে বিষয়টি জানায়। বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।
এরপরই থানার দ্বারস্থ হয় ওই নির্যাতিতা। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রতিবেশী বলেন, “আমরা ঘর থেকে কান্নার আওয়াজ পেতাম। তিন মাস আগেই বুঝতে পারছিলাম বাচ্চাটার ওপর যৌন নির্যাতনও করত। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে আরও ভাল করে বুঝতে পারি। বাবাকে চেপে ধরতে প্রথমে স্বীকার করছিল না। পরে ক্লাবকে জানাই, তারপর থানায়।”