নরেন্দ্রপুর: বাগুইআটির জোড়া খুনের (Baguiati Twin Murder) রহস্য নিয়ে নিয়ে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক চাপানউতর চলছিল বাংলার নাগরিক মহলে। এদিকে এরমধ্যে গত সোমবার বিকালে নরেন্দ্রপুর থানার সাইবেরাবাদ ২ নম্বর জলাশয় থেকে নয়াবাদ হাই স্কুলের নবম শ্রেনির বিশাল করণ নামে এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। কীভাবে জলাশয়ে ওই ছাত্র গিয়েছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। এদিকে ইতিমধ্যেই আবার ওই মৃত ছাত্রের বাবা মুকেশ করণ তাঁর ছেলেকে খুনের অভিযোগ করেছিলেন। জোরদার তদন্ত শুরু করেছিল নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এ ঘটনায় এবার মৃতের তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে ধৃতেরা প্রত্যেকেই নাবালক বলে জানা গিয়েছে।
পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করে বুধবার আলিপুর জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের তরফে আপাতত তাদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আরও এক ছাত্র পলাতক। তার খোঁজেও জোরদার তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এ ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার একটি মদের দোকানের খোঁজ পায় পুলিশ। ওই দোকান থেকেই মদ কিনেছিল নাবলকেরা। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেও তার প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু, নাবালক হওয়ার পরেও কেন তাদের মদ বিক্রি করা হল সেই প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বুধবার ঘটনাস্থলের ভিডিয়োও করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে স্কুলে যাওয়ার নাম করে এলাকার এক জলাশয়ের পাশে বসে মদ্যপান করছিল পাঁচ বন্ধু। সেখানেই কিছু একটা হয় বলে পুলিশের অনুমান। এদিকে বিকালে জলাশয়ের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় বিশালের দেহ। যারপরেই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। সূত্রের খবর, মদ খাওয়ার পর নাকি বিশাল বন্ধুদের সঙ্গে ওই জলাশয় সাঁতরে পার হওয়ার চ্যালেঞ্জও করে। সেটা করতেই গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার মুখে ওই জলাশয়ে বিশাল দেহ ভাসতে দেখেন এক স্থানীয় ব্যক্তি। তিনিই খবর দেন পুলিশে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল বিশালের বন্ধুরা। তাদের মধ্যে তিনজনকে আজ আটক করে পুলিশ। এখনও পলাতক এক।