মহেশতলা: উপহার নিয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চার দিনের কর্মসূচি নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে গিয়েছেন তিনি। সেই বস্ত্র প্রদানের সময় অভিষেককে সামনে দেখেই সমস্যার কথা জানালেন এক বৃদ্ধা। মঞ্চে মন দিয়ে তাঁর কথা শুনলেন অভিষেক। কীভাবে সুরাহা হতে পারে, তা নিয়েও কথা হল। বৃদ্ধার ফোন নম্বর চেয়ে নিলেন সাংসদ। প্রায় ৭-৮ বছর ধরে যে সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি, এবার সাংসদের হস্তক্ষেপে সেটা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন মহেশতলার বাসিন্দা জ্যোৎস্না দাস।
মঙ্গলবার ছিল তাঁর বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বাটানগর আমন্ত্রণ ক্লাবের মাঠে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে উঠে উপহার নেওয়ার সময় সাংসদকে সামনে পেয়ে জ্যোৎস্না দেবী বলেন, ‘আমার একটা আর্জি আছে বাবা।’ এ কথা শুনে অভিষেক জানতে চান কী হয়েছে। বৃদ্ধা জানান, প্রায় ৭-৮ বছর ধরে আবেদন করেও বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না তিনি।
মহেশতলার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জোৎস্না দাস। তিনি জানিয়েছেন বারবার আবেদন জানিয়েও মেলেনি বার্ধক্য ভাতা। কিছুদিন আগেও আবেদন করেছেন তিনি। এমনকী সমস্যার কথা স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। জোৎস্না দেবী বলেন, ‘শ্মশানে যাওয়ার তো সময় গেল, আর কবে হবে?’ অটো চালিয়ে সংসার চালান তাঁর ছেলে। নিজে ভুগছেন পায়ের ব্যাথায়। তাই আর উপায় না দেখে সাংসদকে কাছে পেয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে আশ্বাসও দিয়েছেন অভিষেক। বৃদ্ধার নাম, ফোন নম্বর ও তিনি কোন ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমস্ত কিছু নথিভুক্ত করে নিয়েছেন সাংসদ। এবার কি তবে আশার আলো দেখবেন তিনি? বৃদ্ধা বলছেন, ‘সবই গোবিন্দ জানে।’