Physical Assault: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, শিক্ষককে চ্যাঙদোলা করে এনে ‘পেটালেন’ অভিভাবকরা
Physical Assault: এরপরই এদিন স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। এদিন স্কুলেই উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে স্কুলের পিছনের গেট থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। অভিভাবকরা জানতে পারেন, বাকড়াহাট রোডে স্কুল শিক্ষক দাঁড়িয়ে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ স্কুলেরই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে। গত শুক্রবারের ঘটনা। কিন্তু এদিন বিষয়টি জানা মাত্রই অভিভাবকরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে রীতিমতো চ্যাঙদোলা করে নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। স্কুলের ভিতরেই চলে উত্তম মধ্য়ম। পুলিশ গেলে পরিস্থিতি আরও তপ্ত হতে থাকে। পুলিশকে ঘিরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি ও অ্যাডিশন্যাল এসপি-সহ পুলিশ কর্তারা।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবারের ঘটনা। স্কুলের মধ্যে এক ছাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন ওই শিক্ষক। ছাত্রীটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে বলে। ওই ছাত্রীর বাবা-মা বাকি অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তাঁরা জানতে পারেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ রয়েছে একাধিক।
এরপরই এদিন স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। এদিন স্কুলেই উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে স্কুলের পিছনের গেট থেকে বেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। অভিভাবকরা জানতে পারেন, বাকড়াহাট রোডে স্কুল শিক্ষক দাঁড়িয়ে। তখন সেই জায়গায় তাড়া করে পৌঁছে যান অভিভাবকরা। সেখান থেকে অভিভাবকরা চ্যাঙদোলা করে শিক্ষককে স্কুলে নিয়ে আসেন। সেখানে চলতে থাকে বেধড়ক মারধর। চড়. থাপ্পড় মারেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। স্কুল থেকে শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। জানা যাচ্ছে, ওই শিক্ষককে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “যে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, সেটাই নেব। আমার মেয়ের সঙ্গে হলে যে ব্যবস্থা নিতাম, সেটাই নেব।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)