South 24 Parganas News: ‘মেয়েদের বলছে তুলে নিয়ে যাব’, পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ
স্থানীয়দের দাবি, গাড়িতে থাকা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁদের আচরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ করেন, ওই গাড়িতে লেক থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর ও তাঁর বন্ধুরা ছিলেন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পিকনিক থেকে ফেরার পথে রাস্তায় বাইক রাখাকে কেন্দ্র করে শুরু হল বচসা। আর তা মুহূর্তে রূপ নেয় উত্তেজনায়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার খেয়াদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ তিউড়িয়া এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমে কয়েকজন লাঠি নিয়ে মারধর করেন। এমনকী, মহিলাদেরও রেহাই দেননি তাঁরা। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ লেখা গাড়ি থেকেই ওই হামলা চালানো হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন। খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, গাড়িতে থাকা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁদের আচরণে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ করেন, ওই গাড়িতে লেক থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর ও তাঁর বন্ধুরা ছিলেন। ফলে ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। পুলিশের গাড়ি ঘিরে বচসা, মহিলাদের উপর হামলার অভিযোগ এবং মদ্যপ অবস্থায় পুলিশকর্মীর উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মোমপ্রিতা সরকার বলেন, “পুলিশগুলো আমাদের পাড়া থেকে যাচ্ছিল। ওইখানে পাঁচ-ছ’জন পুলিশ ছিল সবাই মদ খেয়েছিল। আমার স্বামী আরও দুজন রাস্তায় বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। তো পুলিশ বলছে বাইক সরাতে। একটু দেরী হয়েছে, অমনি পুলিশগুলো এসে চড়াও হয় ওদের উপর। গালিগালাজ করে, একজনকে ধরে। আমার স্বামী ভিডিয়ো করছিলেন। সেটা দেখতে পেয়ে আমার স্বামীকে মেরেছে।”
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যদিকে, পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঠিক কী কারণে পরিস্থিতি এতটা উত্তপ্ত হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

