Bhangar: ‘স্মার্ট মিটার’ বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাঙড়ের মাছিভাঙা

Satyajit Mondal | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 28, 2023 | 6:11 PM

Bhangar: যাঁর দোকানঘরে এই স্মার্ট মিটার বা ডিজিটাল মিটার বসাতে এসেছিল, সেই আনসার মোল্লা বলেন, "এই ডিজিটাল মিটার, কীভাবে কী হবে এ সম্পর্কে তো আমার কোনও ধারণাই নেই। আমার ঘরে যদি সেটা লাগিয়ে দেয় কী করে চলবে। আমার পুরনো মিটারই আপাতত থাক। গ্রামবাসী তা বসাতে দেননি।"

Bhangar: স্মার্ট মিটার বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ভাঙড়ের মাছিভাঙা
এভাবেই রাস্তায় ফেলা হয় স্মার্ট মিটার।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এর আগে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন তৈরির বিরোধিতায় শামিল হয়েছিল ভাঙড়ের পোলেরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাছিভাঙা গ্রাম। এবার স্মার্ট মিটারের বিরোধিতায় সরব হলেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীকে আটকে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার মাছিভাঙায় একটি দোকানে স্মার্ট মিটার লাগাতে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। বাধা দেন দোকানদার। অভিযোগ, গ্রামের লোকেরা বিদ্যুৎ দফতরের দুই ঠিকা শ্রমিককে আটকে রাখেন দীর্ঘক্ষণ। এমনকী বেশ কিছু স্মার্ট মিটার ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীদের দাবি, সাধারণত বিদ্যুতের যে বিল আসে, স্মার্ট মিটার লাগালে তার থেকে অনেক বেশি টাকার বিল আসবে। শুধু তাই নয়, তাঁদের বক্তব্য, আগাম টাকা না দেওয়া থাকলে বিদ্যুৎসংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে যে কোনও সময়।

তারই প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন মাছিভাঙা গ্রামের বাসিন্দারা বেশ কিছু স্মার্ট মিটার ভাঙচুর করেন এবং বিদ্যুৎ দফতরের দু’জন কর্মীকে গ্রামের মধ্যে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারাই বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উদ্ধার করে।

যাঁর দোকানঘরে এই স্মার্ট মিটার বা ডিজিটাল মিটার বসাতে এসেছিল, সেই আনসার মোল্লা বলেন, “এই ডিজিটাল মিটার, কীভাবে কী হবে এ সম্পর্কে তো আমার কোনও ধারণাই নেই। আমার ঘরে যদি সেটা লাগিয়ে দেয় কী করে চলবে। আমার পুরনো মিটারই আপাতত থাক। গ্রামবাসী তা বসাতে দেননি।”

যদিও বিদ্যুৎ দফতরের বক্তব্য, এ ধরনের থ্রি ফেজ স্মার্ট মিটার ভাঙড়ের অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় লাগানো হয়েছে। যাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে, শুধুমাত্র তাদের বাড়ি বা কারখানাতেই এই ধরনের মিটার লাগানো হচ্ছে। যদিও জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র পরিবেশ রক্ষা কমিটির নেতা মির্জা হাসানের বক্তব্য, গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনা না করেই বাইরে থেকে এভাবে লোকজন আসায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

মির্জা হাসান বলেন, “স্মার্ট মিটারে একটা সিম লাগানো থাকে। সেটা রিচার্জ করলে তারপরই বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে। আমরা খবর পাচ্ছি, এই স্মার্ট মিটার মোবাইলের টপ আপ রিচার্জের মতো। টাকা ভরলে বিদ্যুৎ, না হলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শুনছি, বিদ্যুতের প্রয়োজন যখন কম তখন ইউনিটের প্রতি মূল্য নামবে। আবার বিদ্যুতের চাহিদা বুঝে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেবে। ইউনিট প্রতি চার্জ বাড়িয়ে এমনিই তো মানুষকে নাজেহাল করছে। আবার স্মার্ট মিটার এলে তো কথাই নেই।”

Next Article