দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সন্দেশখালিকাণ্ডে জমি দখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হল। জেলাশাসকের নির্দেশে শুরু হল তদন্ত। কমিটির মাথায় ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক। সোমবার বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন সন্দেশখালির আন্দোলনকারীরা। জলকর তুলে চাষ জমি ফেরতের দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সেই অভিযোগেরই তদন্ত শুরু হয়েছে। এবিষয়ে সন্দেশখালির বিডিও বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর সবাই আমরা একসঙ্গে বসি। ডিও, ভূমি রাজস্ব আধিকারিক, আমরা সবাই কথা বলে কর্তৃপক্ষকে জানাই। তারপর কর্তৃপক্ষ রেজুলেশন আকারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। যেহেতু অনেকটাই জমি সংক্রান্ত বিষয় জড়িয়ে রয়েছে, তাই বিএলআরও নিজেই বিষয়টি দেখছেন। তদন্তের প্রেক্ষিতে আমরা একটা স্টেটাস রিপোর্টও চেয়েছি।”
শেখ শাহাজাহান ইস্যুতে এখন ফুঁসছে সন্দেশখালি। গত দুদিন ধরে পথে নেমেছেন গ্রামের হাজার হাজার আদিবাসী মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিজ বাজার এলাকায় রীতিমতো বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তাঁরা। প্রচুর মানুষের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকায়। আর এক্ষেত্রে কেবল শেখ শাহজাহান নয়। তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, লাল্টু বোস নামে এলাকার আরও একাধিক ‘গুন্ডা’র নাম। যাদের বিরুদ্ধে গ্রামের মানুষের জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গত ১৩ বছর ধরে এভাবেই শোষিত হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয় ছিল। বৃহস্পতিবার তাই পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন হাজার হাজার মহিলা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যেতে হয় ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুরের পুলিশ সুপার। যদিও ক্ষোভের আগুন তাতেও প্রশমিত হয়নি। শুক্রবারও জ্বলছে সন্দেশখালি।