দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রায় ছ’ফুট লম্বা হাঙর মাছের দেখা মিলল কুলতলির থানার কেল্লা- আন্দারিয়া এলাকায়। বৃহস্পতিবার পিয়ালি নদীর চরে মাছের জালে আটকে গেল প্রায় ছ’ফুট লম্বা একটি হাঙর মাছ। মৃত অবস্থায় মাছটি উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। মৎস্যজীবীদের জালে আটকে পড়ে হাঙর মাছটি উদ্ধার করে পিয়ালি বারুইপুর রেঞ্জ অন্তর্গত বিটের বন কর্মীদের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। মাছটি দেখতে বহু মানুষের ভিড় জমে যায় কেল্লা এলাকায়। এর আগে সুন্দরবনের নদী থেকেই বেআইনি ভাবে হাঙর ধরার অভিযোগ ওঠে। দু’মাস আগেই গ্রেফতার করা ৪ জনকে। সে সময়েই উদ্ধার করা হয় ৬৮ টি হাঙর। নভেম্বর মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন দফতরের বকখালি রেঞ্জের অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকেই উদ্ধার হয় হাঙর। এলাকার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার বিজয়বাটি ও দক্ষিণ শিবপুর এলাকার বাসিন্দারা হাঙর শিকার করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
বন দফতরের পক্ষ থেকে হাঙরকে লুপ্তপ্রায় হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। হাঙর ধরা ও বিক্রি সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ। কিন্তু সুন্দরবন জুড়ে যে এক শ্রেণির মৎস্যজীবী একাজে যুক্ত হয়েছেন, তার প্রমাণ আগেই মিলেছে। মৎস্যজীবীরা মূলত হাঙর ছানা তুলে আনে বেশি মুনাফা লাভের আশায়। সেই ছানা দিয়ে শুঁটকি তৈরি হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম ঘটে। এদিন পেল্লাই এক হাঙর দেখতে পেয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। হাঙরটি উদ্ধার বনদফতরের হাতে তুলে দেন তাঁরা। এক মানুষ লম্বা হাঙরটাকে দেখতে ভিড় জমান আশপাশের গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “হাঙর উদ্ধার আগেও হয়েছে। কিন্তু এত বড় মাপের হাঙর আগে উদ্ধার হয়নি। তাই সবাই দেখতে এসেছি।”