দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ক্লাবের ছাদে মাইক লাগাতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার ছিল পড়ে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গিয়েছিল শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ। টানা ৮ দিন লড়াইয়ের পর হার মানলেন যুবক। তাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে। মৃতের নাম রাকিবুল গাইন (৩৫)। বাড়ি ভাঙড়ের বড়ালি গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২মে মাইক লাগাতে গিয়ে বড়ালি সবুজ সঙ্ঘের দোতলা বাড়ির ছাদে ওঠেছিলেন রকিবুল। আচমকাই গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা ছাদে গিয়ে দেখেন রকিবুল পড়ে রয়েছে। শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে কালো হয়েছে। স্থানীয়রা বুঝতে পারে এগারো হাজার ভোল্টের তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন তিনি।
ইলেকট্রিক তার গিয়েছে ওই ক্লাবের উপর দিয়েই। সেই তারেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হন রকিবুল। তারপর স্থানীয়রা তড়িঘড়ি পিজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিকালে যুবকের মৃত্যু হয়। রাতে এলাকার সাধারণ মানুষ ওই মৃতদেহ নিয়ে বড়ালি সবুজ সঙ্ঘের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দাবি যুবকের পরিবারের জন্য ক্লাব সংলগ্ন বাজারে একটি দোকানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভের পর স্থানীয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ পক্ষ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাঙড় থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গরিব পরিবার। একমাত্র ওই রোজগার করত টুকটাক কাজ করে। এতটা ঝুঁকি ছিল, ও কি তা জানত?ওই বাড়ির লোকের একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।”