বাড়িভর্তি লোক, সানাই বাজচ্ছে, দরজায় বসে গিয়েছে কলাগাছও! আচমকাই হাজির পুলিশ, তুলে নিয়ে গেল পাত্রীকেই

Minor Marraige: আচমকাই মহেশতলা থানা কালিতলা আশুতি থানা ও বজবজ থানার পুলিশ আজ বৈকাল পাঁচটা নাগাদ মাসির বাড়ি থেকে মাসি সহ নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

বাড়িভর্তি লোক, সানাই বাজচ্ছে, দরজায় বসে গিয়েছে কলাগাছও! আচমকাই হাজির পুলিশ, তুলে নিয়ে গেল পাত্রীকেই
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 9:16 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিয়ের জন্য সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে প্রায় সব আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত। সানাই বাজছে। আচমকাই দরজায় কড়া। প্রথমটায় কেউ আঁচই করতে পারেননি। পুলিশ দেখে তো তখন হতভম্ব বাড়ি ভর্তি লোক! কিন্তু আসল বিষয় আঁচ করতে পেরেছিলেন পাত্রী নিজেই। ঠিক আগের রাতে পৌঁছেই নাবালিকার বিয়ে রুখল পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিষ্ণুপুরের ঘটনা।

বিষ্ণুপুরের মত্স্যখালির বাসিন্দা বছর সতেরোর সুমনা প্রামাণিকের বাবা দিনমজুরির কাজ করেন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। এই পরিবারে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে একটু ‘নিশ্চিন্ত’ হতে চেয়েছিলেন বাবা-মা। বিয়ে ঠিক করেছিলেন সুমনার মাসি দীপ্তি সরকার।

নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেই সুমনার বিয়ে বন্দোবস্ত করেন তিনি। দীপ্তি বজবজের কিশোরপুর এলাকার বাসিন্দা। আজ, বুধবার সুমনার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

আচমকাই মহেশতলা থানা কালিতলা আশুতি থানা ও বজবজ থানার পুলিশ আজ বৈকাল পাঁচটা নাগাদ মাসির বাড়ি থেকে মাসি সহ নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতেই সুমনার বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্তারা।

মেয়ে যে নাবালিকা, তা স্বীকার করে নেন তাঁরা। পুলিশ গোপন সূত্রে সে খবর আগেই পেয়ে গিয়েছিল। সুমনা ও তার মাসিকে পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। তবে পাত্রের পরিবারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। পরিবারের এক সদস্যের কথায়, “সুমনার বাবা আসলে খুব গরিব। সংসার চালাতেই হিমশিম খায়। সুমনার পড়াশোনাও আর চালাতে পারেননি। এই পরিস্থিতি বিয়ে দিয়ে একটু নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছিলেন। বয়স যে হয়নি, তা অবশ্য আমরাও ওতো ভালো করে জানতাম না।” আরও পড়ুন: রাত গভীর হলেই বিপত্তি হোস্টেলে, ‘অশরীরী’ আতঙ্কে পরীক্ষা বাতিলের আর্জি নার্সিং পড়ুয়াদের!