Bhangar Abbas Siddiqui: অনুমতি নেই, তবুও আজ ফের ভাঙড়ে ঢুকছেন আব্বাস! পরিস্থিতি জটিল হওয়ার সম্ভাবনা

Bhangar Clash: রবিবারের ঘটনার পর এলাকায় এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আব্বাস অনুমতি না নিয়ে সভা করতে গেলে, কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সে কারণে আগে থেকেই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

Bhangar Abbas Siddiqui: অনুমতি নেই, তবুও আজ ফের ভাঙড়ে ঢুকছেন আব্বাস! পরিস্থিতি জটিল হওয়ার সম্ভাবনা
রবিবারের উত্তেজনার ছবি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2021 | 9:50 AM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আজ, সোমবার ফের ভাঙড়ে যাচ্ছেন আব্বাস সিদ্দিকি। ভাঙড়ের জপুরে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে তাঁর এই সভার কোনও সরকারি অনুমতি নেই। পুলিশ আব্বাসের সভা করার কোনও অনুমতি দেয়নি। তা সত্ত্বেও আব্বাস গ্রামে ঢুকবেন বলে খবর। ফলে নতুন করে উত্তপ্ত হতে পারে ভাঙড়ের আবহাওয়া। রবিবারের ঘটনার পর এলাকায় এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আব্বাস অনুমতি না নিয়ে সভা করতে গেলে, কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সে কারণে আগে থেকেই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। আজ সকাল ১০ কিংবা দুপুর ২টোয় সভা হওয়ার কথা রয়েছে আব্বাসের। এখনও সভার সময় নিয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই।

শনিবারের পর রবিবারও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে গোটা এলাকা। সেখানেই আক্রান্ত হন TV9 বাংলার সাংবাদিক। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে ধর্মীয় সভায় যাওয়ার সময়ে আচমকাই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সভায় যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আইএসএফ কর্মীদের আরও অভিযোগ, ইচ্ছে করে সভায় যেতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারাই পুলিশ সেজে মারধর করছে বলে অভিযোগ।

ঘটনাস্থলে, খবর করতে গিয়ে এদিকে আক্রান্ত হন TV9 বাংলার সাংবাদিক। আইএসএফ কর্মীদের বিক্ষোভরত ছবি তুলতে গিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর ও সাংবাদিককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেন একাধিক আইএসএফ কর্মী। TV9-র সাংবাাদিক বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন ওই সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিক। তাঁদের উপর চলে ইটবৃষ্টিও। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।

সূত্রের খবর, ভাঙড়ের পদ্মপুকুর মাঠে একটি ধর্মীয়সভা করতে গিয়েছিলেন আইএসএফ চেয়ারপার্সন আব্বাস সিদ্দিকি। কিন্তু, পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে ওই সভা করার কোনও অনুমতি ছিল না। পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সভা করতে হলে যথাযথ কোভিডবিধি মেনে অনুমতি-সহ সভা করতে হবে। কিন্তু, তা না থাকলে সভা করা যাবে না। এই নিয়ে রীতিমতো রবিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। ভোজেরহাটে আটকে দেওয়া হয় আব্বাস সিদ্দিকির গাড়িও বলে অভিযোগ। যদিও, তৃণমূলের পক্ষ থেকে কাইজার আহমেদ জানান, তিনি এমন কোনও কিছুই জানেন না।

অশান্তির শুরু শনিবার থেকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাঙড়ের বড়ালী পদ্মপুকুর এলাকায় সুন্নাতুল জামাতের কর্ণধার তথা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির একটি ধর্মীয় সভা করার কথা ছিল। অভিযোগ, সেই ধর্মীয় সভা ভেস্তে দিতেই তৃণমূল আব্বাস অনুগামীদের হুমকি দিতে থাকে। আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। সেই রেশ এখনও অব্যাহত। টানা দুদিন পরও উত্তপ্ত রয়েছে ভাঙড়।

আরও পড়ুন: Maa Flyover: মা উড়ালপুলে গাড়ি সাইড করেই ঝাঁপ যুবকের! গাড়িতে সরকারি স্টিকার লাগানো