জয়নগর: সোমবার দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর। সেই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সাহাবুদ্দিন লস্করকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রথম থেকেই তৃণমূল এই ঘটনায় সিপিএম বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দায়ী করলেও সাহাবুদ্দিনের এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান কিন্তু খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাহলে কি দলীয় কোন্দল ঢাকতেই সিপিএম এর দিকে আঙুল তুলছে তৃণমূল?
গতাকাল শওকত মোল্লা বলেছিলেন, “সিপিএম-বিজেপি আশ্রিত সমাজ বিরোধীরা সইফুদ্দিনকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে। এর একটাই কারণ যাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একটা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়। পুলিশকে বলব যত দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।” অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, “কারোর ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে যত দ্রুত সম্ভব খুনিকে খুঁজে বের করা হোক। যথাযথ তদন্ত হোক।” বস্তুত, ওই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল। ফলত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রশ্ন, যেখানে পায়ের তলার জমিই নেই তাঁদের সেখানে এই খুন হয় কীভাবে? দলীয় কোন্দল ঢাকতেই লাল শিবিরের দিকে উঠছে আঙুল?
বস্তুত, সাহাবুদ্দিন লস্করের গ্রাম গোডাবরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন এসমোতারা লস্করের স্বামী আখতারউদ্দিন লস্কর। সেই আখতার বলছেন, সাহাবুদ্দিন বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী রাজা সর্দারের হয়ে ভোটে কর্মী ছিলেন। তাঁর আরও দাবি, এই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন আখতারউদ্দিনের স্ত্রী এসমোতারা বিবি। ৬৯ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী রাজা সর্দারকে এসমোতারা বিবি হারান।
এ দিকে, সাহাবুদ্দিন লস্করের স্ত্রী জারিনা বিবিও বলছেন, তাঁর স্বামী সিপিএম করেন না। তিনি তৃণমূলই করতেন। এই ঘটনায় পর তাঁদের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে প্রাণে মেরে ফেলার। সেই কারণে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে পারছেন না। জারিনা আরও বলেছেন, সাহাবুদ্দিন পেশায় সেলাইয়ের মিস্ত্রি। ঘটনার দিন সন্তোষপুর আক্রায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন। ভোরবেলা চারটে নাগাদ বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়।