ভাঙড়: ভাঙড়ে ফের আইএসএফে ভাঙন। আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রায় ১০০ জন কর্মী সমর্থক। একুশে জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা দিবস। তার আগেই এই যোগদান আইএসএফ শিবিরের বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রবিবার ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের বড়ালিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই কর্মী সম্মেলন থেকে প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের আইএসএফ নেতা সাবির শিকারী-সহ প্রায় ১০০ জন আইএসএফ কর্মী তৃণমূলে যোগদান করে।
তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন। নওশাদ সিদ্দিকি কোনও উন্নয়ন করছে না। সাবির বললেন, “তৃণমূলে যোগ দিলাম। কারণ যা বুঝে দেখলাম, তৃণমূলই এলাকার উন্নয়ন করছে। আমরা উন্নয়নের সঙ্গেই থাকতে চাই।”
তৃণমূলে যোগ দেওয়া আরেক যুবক বললেন, “নওসাদ সিদ্দিকি ৩ বছর ক্ষমতায় এসেছেন। গ্রামের কোনও কাজ হয়নি এখনও। দিদি স্বাস্থ্য সাথী থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার সব কিছুই দিয়েছি। তাই উন্নয়নের পথে থাকাতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।” ক্যানিং পূর্বে বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, “আর আগেও প্রচুর আইএসএফ কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সাবিরের নেতৃত্বেই ১০০ জন তৃণমূলে যোগ দেন। আমাদের অনেক অন্যায় কাজ করতে চলেছে। ওখানে থেকে কোনও উন্নয়নও হয়নি। তাই তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই আমাদের কাছে এল।” প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই ভগবানপুর অঞ্চলে প্রায় ৭০টি আইএসএফ পরিবার যোগ দেয় তৃণমূলে। আইএসএফ নেতৃত্বের অবশ্য বক্তব্য, তাঁদের কর্মীদের ভুল বুঝিয়েই নিয়ে যাওয়া হয়েছে।