ডায়মন্ড হারবার: তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পর থেকেই আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির দিকে ধেয়ে আসছে একের পর এক কটাক্ষ। শাসকদল তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা বিভিন্ন ভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েই চলেছেন। তবে সব সীমা ছাড়িয়ে গেলেন যেন ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম। বিধায়কের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করলেন তিনি।
মঙ্গলবার ভাঙড়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন আরাবুল। নওশাদকে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে গেলে সেখানকার মহিলারা ঝাঁটা নিয়ে রেখেছে। মুখে বসিয়ে দেবে।” নাম না করে নওশাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “উনি অপদার্থ। মহিলা ঘটিত কারণে জড়িয়ে গিয়েছেন। তাই ওনার মুখ দেখানোই উচিৎ নয়। অথচ উনি ড্যাং-ড্যাং করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবারে যাচ্ছেন প্রার্থী হওয়ার জন্য। আর ওনাকে মদত দিচ্ছে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস।”
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক তিন দিন আগে ৫ জুলাই নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে এক মহিলা ধর্ষণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ তোলেন। ওই মহিলাকে নওশাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। যদিও, প্রথম থেকেই নওশাদ দাবি করেছিলেন বিষয়টি তৃণমূলের ষড়যন্ত্র বলে। এমনকী এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আগাম জামিনও পেয়ে যান।
প্রসঙ্গত, আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধীদের নজর যে ডায়মন্ড হারবার সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সেখানে প্রার্থী হওয়ার জন্যই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক। এরপর থেকেই শুরু রাজনৈতিক আকচাআকচি। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমানের দাবি, আখেরে মুসলিম ভোট কাটানোর জন্যই সেখান থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের এই নেতা। এর জন্য বিজেপির থেকে মাসোহারাও নিচ্ছেন তিনি।