Suvendu Adhikari: ক্যানিং এলে শুভেন্দুকে বেঁধে রাখার হুমকি তৃণমূল বিধায়কের
Jiban Ram Das: শুভেন্দু অধিকারীর সেই ঘোষণার পরেই এবার ক্যানিং বাস স্ট্যান্ডে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস পাল্টা বলেন, "বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্যানিংয়ে এসে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বললে তাঁকে বেঁধে রাখব।"

ক্যানিং: ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার ক্যানিং যাওয়ার কথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তার আগেই শুভেন্দুকে হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। ক্যানিংয়ে গেলে শুভেন্দু অধিকারীকে বেঁধে রাখার হুমকি তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাসের। তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পর তাঁকে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক তথা ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন জমার সময় থেকেই অশান্তি শুরু হয়। গুলি চালনা ও বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। আক্রান্ত হতে হয় বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফ, এসইউসিআই, কংগ্রেস প্রার্থী ও কর্মীদের। সেই হিংসার ঘটনা সরেজমিনে দেখতে ক্যানিংয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। ক্যানিংয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোট ২৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে, ৩০ টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে ও ৩ টি জেলা পরিষদের আসনে তৃণমূলের প্রার্থী অর্থাৎ পরেশ রাম দাসের অনুগামীরা ইতিমধ্যেই জয়লাভ করেছে। সম্প্রতি বারুইপুরে এসে তৃণমূল বিধায়ক ও নেতাদের হুঁশিযারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, মঙ্গলবার ক্যানিং সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় যাবেন। ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাবেন, বন্ধ দোকান নিজে দাঁড়িয়ে খোলার ব্যবস্থা করবেন।
শুভেন্দু অধিকারীর সেই ঘোষণার পরেই এবার ক্যানিং বাস স্ট্যান্ডে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা থেকে ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস পাল্টা বলেন, “বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্যানিংয়ে এসে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বললে তাঁকে বেঁধে রাখব।” এর পাশাপাশি শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণও শানান তিনি।
যদিও তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি এখানেও স্বৈরাচার চলেছে। মনোনয়ন জমা দিতে দেবে না, ভোট দিতে দেবে না। তৃণমূল ধরা পড়ে গিয়েছে। লুঠেরা বাহিনী তৃণমূল দল চালাচ্ছে। শুধু বিজেপি নয়, সিপিএম, সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। কোনও এলাকা কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। কিন্তু তৃণমূল সব ভুলে গিয়েছে। মানুষ সব দেখছে।”