সোনারপুর: রাজ্যজুড়ে বেআইনি দখল তুলতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন পুলিশ-প্রশাসন। দিকে দিকে চলছে উচ্ছেদ অভিযান। যদিও রাজ্যজোড়া বিতর্কের মধ্যে এদিন খানিকটা সুর নরম করতে দেখা গিয়েছে মমতাকে। আপাতত একমাস রাস্তায় নামছে না বুলডোজার। এদিকে এদিনই বেআইনি দখল সরাতে গিয়ে সোনারপুরে বাধার মুখে পড়তে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। এলাকার মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নয়, ব্যবসা করে খেতে চাই। বিক্ষোভ দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করতে দেখা যায় মহিলাদের।
প্রশাসনিক আধিকারিকদের ঘিরে ধরে দীর্ঘ সময় ধরে চলে বিক্ষোভ। এদিন সোনারপুর বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতেই ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। শুরু থেকেই বাধা দেন মহিলারা। পুলিশকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য এই ব্যবসা করেই তাঁরা সংসার চালান। বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচও চলে এই উপার্জনের উপর ভর করেই। এখন উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হলে কোথায় যাবেন তাঁরা? পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের সামনে এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
ওই এলাকাতেই দোকান রয়েছে শ্যামলী ঘোষের। উচ্ছেদের ছবি চোখে জল তাঁরও। কাঁদো কাঁদো গলাতেই বললেন, “আমার এখানে একটা দোকান আছি। আমরা করে খেতে চাই। ছোট জায়গা হোক আমাদের দিক। আমরা করে খেতে চাই। আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চাই না। দিদির কাছে হাতজোড়া করে অনুরোধ করছি আমার অবস্থা দেখুন। আমাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। ওদের কী খাওয়াব?” পাশ থেকে তো আর এক মহিলা বলে উঠলেন, “দোকান বন্ধ করে সব মিটিং, মিছিলে গিয়েছি। এখন ভোট হয়ে গিয়েছে পেটে লাথি মারছে।” বাধার মুখে পড়ে কিছু সময়ের জন্য বন্ধও হয়ে যায় উচ্ছেদের কাজ। যদিও কিছু সময় পর ফের শুরু হয়ে যায়।