Jaynagar: ‘নিজের হাতে ওকে শাস্তি দেব’, কেঁদেই চলেছেন মৃত নাবালিকার মা, হাহাকার বাবারও
Jaynagar: মেয়েকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল বাবাও। পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনিও। বললেন, "পুলিশ ফাঁড়ি অভিযোগ নিতে চায়নি। বলে, এটা আমাদের আন্ডারে নয়। আমরা যখন চলে আসছিলাম, তখন শুধু বলে, তোমাদের মেয়ের ছবি দিয়ে যাও। তোমরা কুলতলি থানায় যাও।"
জয়নগর: টিউশন পড়ে আর বাড়ি ফেরেনি মেয়ে। সময় যত গড়ায়, মনের মধ্যে শঙ্কাও বাড়ছিল বাবা-মার। মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফিরিয়ে দেয় পুলিশ ফাঁড়ি। তারপর জয়নগর থানায় যান তাঁরা। গভীর রাতে বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে জলাজমি থেকে নাবালিকার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। তারপর থেকে কেঁদেই চলেছেন কুলতলির মৃত নাবালিকার বাবা-মা। হাহাকার করতে করতেই দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানালেন।
সন্তান হারানোর শোকে বাবা-মার কান্নায় বিষাদের ছায়া কুলতলিতে। মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণায় কেঁদেই চলেছেন মা। আশপাশের মহিলাদের চোখেও জল। কাঁদতে কাঁদতেই মৃত নাবালিকার মা বিড়বিড় করে বললেন, “আমি বিচার চাই। আমি নিজের হাতে ওকে সাজা দেব। আমার বাচ্চাকে যেমন ছিঁড়ে খেয়েছে, আমি ওকে ছিঁড়ে খাব।” পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ করলেন তিনি। এলাকার সিসিটিভি দেখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। তাও দেখানো হয়নি বলে উপপ্রধানের বিরুদ্ধ অভিযোগ করলেন।
মেয়েকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল বাবাও। পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনিও। বললেন, “পুলিশ ফাঁড়ি অভিযোগ নিতে চায়নি। বলে, এটা আমাদের আন্ডারে নয়। আমরা যখন চলে আসছিলাম, তখন শুধু বলে, তোমাদের মেয়ের ছবি দিয়ে যাও। তোমরা কুলতলি থানায় যাও।” পরে জয়নগর থানায় অভিযোগ জানান তাঁরা।
নাবালিকাকে খুনের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে এদিন আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যারা দোষী, তাদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাবালিকার বাবা। বললেন, “আমি সুবিচার চাই। কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি চাই। যারা জড়িত তাদের ফাঁসি চাই।” প্রসঙ্গত, শনিবার মৃত নাবালিকার ময়নাতদন্ত হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল ৪টের পর ময়নাতদন্ত করা যায় না। আগামিকাল ময়নাতদন্ত হবে।