Panchayat Elections 2023: ‘তৃণমূলের কর্মী ভুল করলে, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি’, ভাঙড়ে হিংসার আবহে আরাবুল পুত্রের ‘ভুল স্বীকার’

Satyajit Mondal | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 29, 2023 | 5:58 PM

Bengal Panchayat Election: ভাঙড়ের বামনঘাটা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন হাকিমুল ইসলাম। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাকিমুল দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।

Panchayat Elections 2023: তৃণমূলের কর্মী ভুল করলে, ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ভাঙড়ে হিংসার আবহে আরাবুল পুত্রের ভুল স্বীকার
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে ভয়াবহ হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (Bhangar)। মারামারি, বোমাবাজি, গুলি তো চলেছেই, প্রাণ পর্যন্ত গিয়েছে। আর সিংহভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বারবার বিরোধীদের মুখে শোনা গিয়েছে ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলাম ও শওকত মোল্লার নাম। দু’দিন আগেই শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাস দিয়েছেন শওকত। এবার আরাবুল-পুত্রের মুখে ‘ক্ষমা প্রার্থনা’। হিংসার ঘটনার ১১ দিন পর আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলামের গলায় ক্ষমা চাওয়ার সুর। হাকিমুল জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন। ভোট প্রচারে বেরিয়ে ভাঙড়বাসীর কাছে তিনিই ক্ষমা চাইলেন।

ভাঙড়ের বামনঘাটা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন হাকিমুল ইসলাম। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাকিমুল দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী ভুল করে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন। হাকিমুল বলেন, ” যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী ভুল করে থাকে, আপনাদের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের কাছে আমরা ভুল স্বীকার করছি। আপনারা আমাদের ভোট দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিন। আমাদের ভুল থাকলে আপনারা ক্ষমা করে দিন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভোটটাকে ঋণ হিসাবে আপনাদের কাছে চাইছি।”

এর আগে উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, মানুষের সরকারকে ভোট দেওয়ার কথা। তিনি বলেন, “যদি আমাদের কেউ কোনও দুঃখ দিয়ে থাকে, আমি তাদের হয়ে ক্ষমা চাইব। ভুল বুঝবেন না।” কেউ ভুল করলে চড় মারার কথাও বলেন তিনি। বিরোধীরা বলছেন, সেই চড় যে ভোটের ব্যালটেও পড়তে পারে, হাকিমুলরা তা বুঝতে পেরেছে। তাই এখন ক্ষমার সুর।

এ বিষয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, “এই হাকিমুল সাহেব, আরাবুল সাহেবদের পায়ের নীচে মাটি নেই। আগামী পাঁচ বছর ভাঙডের মানুষকে কীভাবে শোষণ করবে, তার জন্য এই ক্ষমার নাটক করছে। ভাঙড়ের মানুষ এই নাটকে পা দেবেন না।” অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরও একই দাবি, “ড্রামাবাজি। সব দেখে শিখেছে।”

Next Article