WB Panchayat Elections: ভাঙড় যেন ইউক্রেন! চোখের সামনে কী কী ঘটল, জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

Bengal Panchayat Election: বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেখানেই তুমুল হিংসার অভিযোগ ওঠে। একজন মারা যান।

WB Panchayat Elections: ভাঙড় যেন ইউক্রেন! চোখের সামনে কী কী ঘটল, জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
দোকানের সাটারে বুলেটের চিহ্ন। ডানদিকে দোকানের মালিক।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2023 | 4:33 PM

ভাঙড়: বৃহস্পতিবার তাণ্ডব চলেছে ভাঙড়ে। তার চিহ্ন শুক্রবারও স্পষ্ট ভাঙড়ের রাস্তাঘাট, বাড়ির দরজা, দোকানের সাটারে বুলেটের দাগ। রাস্তায় পড়ে তাজা বোমা। হিংসার এমন ছবি আগে কখনও দেখেনি ভাঙড়, বলছেন আতঙ্কিত এলাকাবাসী। এই হিংসা বেনজির, বলছেন ভাঙড়ের মানুষ। শুক্রবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে টিভি নাইন বাংলা। বাড়ির সামনে দোকান। সেই দোকানের সাটারে গুলির চিহ্ন। গর্ত করে দিয়েছে সাটার। যে বাড়ির দোকানে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে, সেই বাড়ির মালিকের কথায়, “আমরা উপরে ঘর বন্ধ করে বসে আছি। গুলি চলছে, বোমা পড়ছে। পুকুরের কোণ থেকে বসে বসে গুলি চালিয়েছে। সব এসে আমাদের সাটারে লেগেছে। আমার উপরের দোতলার জানলার কাচ ভেঙে গিয়েছে। আমাদেরও যে কোনও সময় প্রাণহানি হতে পারত। এই ক্রিমিনালদের কারা জোগাড় করেছে, কোন দলের তা তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে ফুলঝুড়ির মতো বোমা পড়েছে। লোকজন এসে সেসব কুড়িয়ে জলে ফেলেছে। এরকম ভাঙড়ের বুকে জীবনে হয়নি। কোনওদিন দেখিনি। ঠিক যেন ইউক্রেনের যুদ্ধের মতো।”

ভাঙড়-২ বিডিও অফিসের থেকে ২০ মিটার দূরে বিজয়গঞ্জ বাজার। সেই বাজার থেকে যে রাস্তা পানাপুকুরের দিকে গিয়েছে, অর্থাৎ বিডিও অফিস থেকে খুব বেশি হলে ২০০-৩০০ মিটার দূরের যে জায়গা, সেখানেই বৃহস্পতিবার দাপিয়ে বেরিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

আরেক এলাকাবাসীর কথায়, “হাজারে হাজারে গুলি চলেছে। সারা এলাকা ছড়িয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীতে। যেমন সব মেশিন, সেরকম বোমা। বিশাল বিশাল সব মেশিন।” পানাপুকুরের যে পাকা রাস্তা, তার ধারে পানায় ভরা পুকুর। অভিযোগ, পুকুরের ওপারে গিয়ে গাছের আড়াল থেকে বোমা গুলি ছুড়ছিল দুষ্কৃতীর দল। তাদের লক্ষ্যই ছিল, বিরোধীদের মনোনয়ন আটকানো। শুক্রবারও রাস্তার ধারে পড়েছিল তাজা বোমা।

এমনও অভিযোগ, এলাকার যে সরকারি হাসপাতাল, সেখানে বোমা বন্দুক মজুত ছিল। ছিল গুন্ডাদের আশ্রয়ও। এক আইএসএফ সমর্থকের কথায়, “বিকেলে প্রায় ১০০ পুলিশ এসে হাসপাতালের গেট ঘিরে রেখেছিল। ভিতর থেকে তালাবন্ধ। চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের নেতা শাহিন কাদির এসে আমাদের চলে যেতে বলেন।”