ক্যানিং: শুক্রবার ভাঙড়ে গিয়েছিলেন। আর শনিবার ক্যানিংয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মনোনয়নপর্বে উত্তপ্ত হয়েছিল এই ক্যানিংও (Canning)। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল বোসের এই সফর। বিডিও অফিসে যান তিনি। কথা বলেন সরকারি কর্তাদের সঙ্গে। সেখানে তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, কোনওরকম হিংসা বরদাস্ত নয়। হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে হবে। একইসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, গণতন্ত্রে ভয়ের জায়গা নেই। রাজনীতিতে পেশিশক্তির ব্য়বহার হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। এদিন ক্যানিংয়ে পৌঁছে সেচ দফতরের বাংলোতে যান রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল এদিন বলেন, যে পরিস্থিতি চলছে তা মেনে নেওয়া যায় না। যে কয়েকটি জায়গায় তিনি গিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে গণতন্ত্রের ক্ষয় নজরে এসেছে। নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কলকাতা হাইকোর্ট তার রায়ে কয়েকটি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে। নিশ্চিতভাবে তা পালন করতে হবে। সন্ত্রাস, উসকানি, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্যপালের কথায়, “রাস্তায় মানুষ বলছেন ছাড়ব না ছাড়ব না। হবে না, হবে না। গুন্ডামি, হিংসার বিরুদ্ধে এটাই মানসিকতা হওয়া উচিত।”
শুক্রবার ভাঙড়ে গিয়ে বাংলার সাংবিধানিক প্রধান বলেছিলেন, কোনও কথা নয়, শুধু অ্যাকশন নেওয়ার সময়। ধৈর্য ধরে সবটা দেখার কথাও বলেছিলেন রাজ্যপাল। বলেছিলেন, সক্রিয় ও কংক্রিট ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও। শনিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, রাজ্যজুড়ে অরাজকতা চলছে, যা তিনি রাজ্যপালকে জানিয়েছেন। রাজ্যপাল হিংসা বন্ধ করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও দাবি করেন সুকান্ত। সুকান্তের বক্তব্য, গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই বলেই মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। এদিন ক্যানিংয়ে সেই কথাই শোনা গেল রাজ্যপাল বোসের মুখে।