Santanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়াল ১০০ দিনের কাজ! সরকারি প্রকল্পের টাকায় শান্তনুর জমি রক্ষণাবেক্ষণের অভিযোগ
১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের ফলকও রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড়ের রিসর্টের সামনের জমিটিতে।
বলাগড়: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বেআইনিভাবে কেবল চাকরি দেওয়া বা চাকরির নামে প্রতারণা নয়, এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee) রাজত্বে ১০০ দিনের কাজের (100 Days work project) টাকা ঢোকারও অভিযোগ উঠেছে। শান্তনুর বলাগড়ের (Balagarh) রিসোর্টের সামনেই প্রায় ১৭ কাঠা এক চাষের জমির হদিশ মিলেছে। সেই জমিতে যে চাষাবাদ হত, তার রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শ্রমিকদের মজুরি- সবটাই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকায় হত বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু মৌখিক অভিযোগ ওঠা নয়, ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের ফলকও রয়েছে সেই জমিতে। যা নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ইডি তদন্তে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেনামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যার মধ্যে একটি হল, শান্তনুর বলাগড়ের রিসোর্টের সামনে প্রায় ১৭ কাঠা জমি। সামান্য টাকার বদলে তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সুপ্রতিম ঘোষ ও নিলয় মালিকের নামে এই জমিটি কেনা হয় বলে জমি বিক্রেতাদের অভিযোগ। তাঁদের আরও অভিযোগ, একপ্রকার জোর করেই তাঁদের মাত্র ৪০ হাজার টাকা কাঠা হিসাবে এই জমি বিক্রি করতে হবে বাধ্য হন। এরপরই এই জমিতে আলু সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়। চাষ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জমিতে অনেকে কাজও করেন। তাঁদের মজুরি দেওয়া থেকে জমির রক্ষণাবেক্ষণ- সবটাই ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকায় করা হয় বলে অভিযোগ। ওই জমিতে যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা ঢুকত, তার প্রমাণ হিসাবে জমিতে ফলক বসানো রয়েছে।
জমি বিক্রেতাদের অভিযোগ, বিশ্বরূপ প্রামাণিক স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর মাধ্যমেই শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢুকত বলে অভিযোগ। শনিবারই বিশ্বরূপ প্রামাণিক ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি গোয়েন্দারা। আবার যাঁর নামে জমিটি কেনা হয়েছিল, সেই আকাশ ওরফে সুপ্রতিম ঘোষকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। আদতে এই জমিটি কার টাকায় কেনা হয়েছিল? সেই টাকা কোথা থেকে এসেছিল এবং ১০০ দিনের সরকারি কাজের টাকা কী ভাবে এই জমিতে কাজে লাগানো হল, এই সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।