Jamal Sonarpur: জামালের প্রাসাদে পাতালঘর রহস্য! জলের ট্যাঙ্ক না অন্যকিছু?

Soma Das | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jul 26, 2024 | 11:17 AM

Underground chamber in Jamal's house: সাদ্দামের খাটের নীচে সূড়ঙ্গের পর এবার জামালের বাড়িতে মিলল পাতালঘর। শুক্রবার ভোরে, জামাল ওরফে জামালউদ্দিন সর্দারকে নিয়েই তার বাড়িতে অভিযান চালায় সোনারপুর থানার পুলিশ। পুরো বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তল্লাশির সময়ই তাঁর বাড়ির নীচে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বার বা পাতালঘরের সন্ধান পায় পুলিশ।

Jamal Sonarpur: জামালের প্রাসাদে পাতালঘর রহস্য! জলের ট্যাঙ্ক না অন্যকিছু?
জামালের প্রাসাদ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সোনারপুর: সাদ্দামের খাটের নীচে সূড়ঙ্গের পর এবার জামালের বাড়িতে মিলল পাতালঘর। শুক্রবার ভোরে, জামাল ওরফে জামালউদ্দিন সর্দারকে নিয়েই তার বাড়িতে অভিযান চালায় সোনারপুর থানার পুলিশ। পুরো বাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তল্লাশির সময়ই তাঁর বাড়ির নীচে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বার বা পাতালঘরের সন্ধান পায় পুলিশ। জামালের দাবি, ওই গুপ্তঘর আসলে জলের ট্যাঙ্ক। তবে, সেটি সত্যিই জলের ট্যাঙ্ক নাকি সেখানে কিছু লুকিয়ে রাখা আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে সোনারপুর থানার পুলিশ সূত্রে। এই তল্লাশি অভিযানকে কেন্দ্র করে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক পুলিশ।

সোনারপুরের ত্রাস জামালের প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে। বাড়ির ভিতর সুইমিং পুলে পোষা হয় কচ্ছপ। একটি ঘোড়াও রয়েছে, তার দেখভালের জন্য রয়েছে আলাদা কর্মীও। এদিন ভোররাতেই জামালকে সঙ্গে নিয়ে নামালে তাঁর সোনারপুরের এই প্রাসাদোপম বাড়িতে আসে সোনারপুর থানার পুলিশ। তার বাড়ির জলাশয়ের পাশে মাটির নীচে একটি ঘর আছে বলে আগেই খবর পেয়েছিল পুলিশ। সোনারপুরের বাড়িতে এসে, পাতালঘরের সন্ধানে ওই জায়গাটি খুঁড়তে শুরু করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু সিসিটিভির ডিভিআর বা বিডিটাল ভিডিয়ো রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। বেশ কয়েকটি জলের ট্যাঙ্ক ছিল, সেগুলিও খুলে দেখা হয়েছে। একটি ১৫ হাজার লিটারের বিশাল জলের ট্যাঙ্ক ছিল। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত সপ্তাহেই জামালকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও নরেন্দ্রপুর থানার বর্ডার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, জামাল তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাব করেছিলেন। টাকা দেওয়ার পরও শিকল দিয়ে বেঁধে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। শেষে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল। এই অভিযোগের তদন্তে নেমে জামাল সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। একের পর এক গ্রামবাসী তাঁর বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে হেনস্থা করা, তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন। এমনকি, জামালের নিজের দাদা এবং মা-ও, তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন।

Next Article