রায়গঞ্জ: স্বামীর মৃত্যুর পর অন্য পুরুষকে বাড়িতে এনে সময় কাটানোর অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে। বাড়িতে ঢুকে বেধড়ক মারধর করা হল ওই মহিলা ও এক ব্যক্তিকে। রায়গঞ্জের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। গ্রামের লোকজনের দাবি, পাড়ার মধ্যে নোংরামি চলছে। এভাবে পাড়ার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাল্টা অভিযুক্ত মহিলার মেয়ের দাবি, বাড়িতে মায়ের ধর্মভাই এসেছিলেন। ইচ্ছা করে গ্রামের লোকজন এটা করেছে। সম্পত্তি দখলের জন্যই এমন ঘটনা বলে দাবি তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশকে না জানিয়ে কেন এই নীতিপুলিশি চালালেন গ্রামের মহিলারা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই মহিলাকে একই গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন তাঁরা। গ্রামবাসীরা জানান, রাত হলেই ওই ব্যক্তি এসে বিধবা মহিলার ঘরে ঢোকেন। গ্রামবাসীদের দাবি, ঘরে মদ, মাংস নিয়ে বসে নোংরামি করছিলেন দু’জন।
কিন্তু গ্রামবাসী কীভাবে দেখলেন? এক মহিলার কথায়, “এসব ওদের রোজ চলে। আমরা দরজার ফাঁকে চোখ রেখেছিলাম। তাতেই হাতেনাতে ধরি। এরপর সব মহিলারা ধরে এনে পিটিয়েছি।” এমন নীতিপুলিশির সমর্থনে ওই মহিলা বলেন, “গ্রামের মধ্যে এরকম নোংরামি করলে মারবে না তো কী করবে?”
গ্রামের আরেক মহিলা বলেন, “ওদের বাড়ির লোকই বলত বাড়িতে এসব করে বউটা। আমরাও পরশু দেখি সত্যি। নোংরামি করতে দেখেছি। বাাড়িতে বউটা অন্য লোক এনে নোংরামি করছিল। ঘরের মধ্যে এসব করছে। গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করলে কাউকেই ছাড়া হবে না। এসব মহিলা আমরা গ্রামে চাই না। বদমায়েশি করলে তো মার খেতেই হবে।”
তবে আক্রান্ত মহিলার দাবি, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এসব করা হল। অন্যদিকে ওই মহিলার মেয়ে বলেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই গ্রামের কয়েকজন এই বাড়ি দখল করার চেষ্টা করছে। জায়গা জমি হাতাতে চাইছে। আমাদের এখানে থাকতে দেবে না বলে এসব করল। আমার মায়ের ধর্মভাই আছে। উনি এসেছিলেন। ঘরে শুয়েছিলেন উনি। মা বাইরে শুয়েছিল। জোর করে নগ্ন করে ভিডিয়ো তৈরি করে এসব করেছে। গ্রামের ২-৩টে বাড়ি জায়গা দখল করতে এসব করল।” ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ওই মহিলা ও ওই ব্যাক্তিকে নিয়ে যায়।
স্থানীয় উপপ্রধান বলেন, “এরকম কোনও অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে কিছু কিছু লোক আলোচনা করছে, শুনেছি। এখানে তো দু’পক্ষই দোষী। আইনের হাত ধরে সবটা মেটানো দরকার।”