রায়গঞ্জ: এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়। সেখানেই শুরু হয়েছে পাখি গণনার কাজ। রবিবারের মধ্যে এই পাখি গণনার কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই বছর রায়গঞ্জ বনবিভাগ ৫টি স্বেচ্ছাসেবী পশুপ্রেমী সংস্থাকে নিয়ে এই পাখি গণনার কাজ শুরু করেছে। রায়গঞ্জ কুলিক বনাঞ্চলের রেঞ্জার প্রমিকা লামা জানান, পাখি গণনার ক্ষেত্রে বনবিভাগের নির্দিষ্ট নীতি আছে। মূলত গাছপিছু পাখির বাসা গুনে মোট পাখি গণনার কাজ হবে বলে জানান তিনি।
প্রমিকা লামা বলেন, “প্রতি বছরই এই সেপ্টেম্বর মাসে বার্ড সেনশাস হয়। এবারও হচ্ছে। ট্রি মার্কিং দেখে কাজ হচ্ছে। এবার ৫টা সংস্থা কাজ করছে। একটি এনজিও, একটা ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন, একটা ফটোগ্রাফি ক্লাব আছে। দু’টো পশুপ্রেমী সংস্থা।”
এশিয়ার বৃহত্তম ওপেন বিল স্টর্ক কলোনির তকমা রয়েছে এই কুলিকের। ওপেন বিলের পাশাপাশি নাইট হেরন, করমোরেন্ট এগরেটের মতো বিদেশি পাখি যেমন কুলিকের আকর্ষণ বাড়িয়েছে। একইভাবে প্রচুর দেশীয় পাখিরও কলকাকলি শোনা যায় এখানে। তথ্য বলছে, গত বছর রায়গঞ্জ কুলিক পাখিরালয়ে মোট পরিযায়ী পাখি এসেছিল ৯৯৩৯৩। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সংখ্যাটা ছিল ৯৮৭৩৯। ২০২০ সালে ছিল ৯৯৬৩১।
চলতি বর্ষার মরসুমে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাখির সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও পাখি গণনাকারীরা বলছেন, দু’দিনের গণনা শেষেই বাকিটা বলা সম্ভব হবে। পাখি গণনাকারীদের দলে আছেন ঋজু দে। তিনি বলেন, “শনিবার ও রবিবার আমরা পাখি গোনার কাজ করব। এখানে প্রতিটি গাছের গায়ে নম্বর আছে। সেই নম্বর ধরে ধরেই গাছে কতগুলি পাখির বাসা আছে, সেগুলি আগে গুনি। এক একটি বাসা থেকে ৪টি করে পাখি ধরি। মা, বাবা, দুই ছানা। এরপর বনবিভাগ বাকি হিসাব করে।”