রায়গঞ্জ: কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলাগুলিতে যখন বায়োমেট্রিক প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসছে, তখন এর মধ্যেই আবার আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেল ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, চা বাগান ঘেরা চোপড়ায় আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণার হাব তৈরি করেছে প্রতারকরা৷ শুধু তাই নয়, প্রতারণা চক্রের আধুনিক অফিসে বসেই মুহুর্তে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করা হয়েছে। কেউ কিছু বোঝার আগেই নিমেশে সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন অনেকে। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। এখন এই চক্রের মাথায় কে রয়েছে তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশী৷
কবে প্রথম গ্রেফতার?
গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রথম সাফল্য পায় ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানা। গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। উদ্ধার করা হয় প্রচুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভলপিং কেমিক্যালস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, জমির দলিলের আঙুলের ছাপের কাগজ,আধারের কপি। গ্রেফতার ৩ ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। এরপর শনিবার আরও একটি আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের হদিস মেলে। উদ্ধার হয় আরও প্রয়োজনীয় গেজেটস, কেমিক্যালস,কম্পিউটার, দলিলের কপি। তবে আজ পুলিশ ওই চক্রের পান্ডাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।
রবিবার এই বিষয়ে ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, “প্রথম দিনের প্রতারণা চক্রের হদিস পাওয়া গিয়েছিল চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় চোপড়া থানার চুটিয়াখোড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ কিন্তু কাউতকে গ্রেফতার করা যায়নি।”