Physically Harassment: এক সন্তানের বাবা, লুকিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাস করে ‘ধর্ষণ’, পুলিশ আধিকারিককে জেল হেফাজত দিল আদালত

Rupak Ghosh | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 05, 2024 | 9:37 AM

Physically Harassment: পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সাল থেকে ওই যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন পুলিশ আধিকারিক। রায়গঞ্জ থানায় কর্তব্যরত থাকাকালীন যুবতীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত আধিকারিক বিবাহিত হওয়ার পরও সে কথা নাকি গোপন করেছিলেন যুবতীর কাছে। এরপর নির্যাতিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। অভিযোগ তাঁকে ধর্ষণ করেন।

Physically Harassment: এক সন্তানের বাবা, লুকিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাস করে ধর্ষণ, পুলিশ আধিকারিককে জেল হেফাজত দিল আদালত
ধর্ষণে নাম জড়ালো পুলিশ আধিকারিকের
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

রায়গঞ্জ: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ। নাম জড়ালো এক পুলিশ আধিকারিকের। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল রায়গঞ্জ জেলা আদালত। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি থানায় কর্মরত। তিনি এএসআই (ASI) পদে নিযুক্ত ছিলেন।

গত বছরের ২৮ মে রায়গঞ্জের বাসিন্দা এক যুবতী তিনি রায়গঞ্জের মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এরপর ওই আধিকারিক প্রথমে রায়গঞ্জ জেলা আদালত ও পরে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যায় ।সোমবার অভিযুক্ত রায়গঞ্জ জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এএসআই।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২০ সাল থেকে ওই যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন পুলিশ আধিকারিক। রায়গঞ্জ থানায় কর্তব্যরত থাকাকালীন যুবতীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত আধিকারিক বিবাহিত হওয়ার পরও সে কথা নাকি গোপন করেছিলেন যুবতীর কাছে। এরপর নির্যাতিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। অভিযোগ তাঁকে ধর্ষণ করেন।

এরই মধ্যে বালুরঘাট থানায় বদলির হয়ে যান ওই অফিসার। একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এরপর যখন ওই যুবতী জানতে পারেন অফিসার বিবাহিত। এবং তাঁর সন্তান রয়েছে। তখন তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানাতে গেলে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেন ওই আধিকারিক বলে অভিযোগ।

এরপরই ২০২৩ সালের ২৮ মে অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৩,৩৭৬,৪১৭,৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলায় ওই অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলেও সেই জামিন খারিজ হয়ে যায়। এরপর উপায় না পেয়ে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত।

রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রী সরকার বলেন,”অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছিল। অভিযু্ক্ত অফিসার জেলা আদালত এবং উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই আজ জেলা আদালতে সে আত্মসমর্পণ করে। অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর এদিন সন্ধ্যার পর অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনার তদন্তে রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিশ।”

 

Next Article