রায়গঞ্জ: তিলোত্তমার ন্যায় বিচার,ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা,স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি সহ একাধিক ইস্যুতে অনশন-বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে। এই আবহে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে শুরু হয়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ। শুধু তাই নয়, জোড় দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক,নার্সদের নিরাপত্তায়। এবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের রেস্ট রুমের দরজা খুলবে বা বন্ধ হবে ফেসলক ও আঙ্গুলের ছাপে। পাশাপাশি রায়গঞ্জ মেডিক্যালে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি রেস্টরুমে বসতে চলেছে এই বাইয়োমেন্ট্রিক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম।
কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম?
মেডিক্যালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক রুমের দরজার সামনে এই সিস্টেম বসানো থাকবে। ফিঙ্গার প্রিন্ট কিংবা ফেস লকের মাধ্যমে সেই দরজা খুলবে ও বন্ধ হবে। রুমে প্রবেশের জন্য যাঁদের নাম রেজিস্ট্রার করা থাকবে একমাত্র তাঁরা বাদে বাইরের কেউ ওই রেস্ট রুমে প্রবেশ করতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ২৯ টি ঘরকে রেস্টরুম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মী যাঁরা রয়েছেন তাঁরা বিশ্রাম করতে পারবেন এবং বিশ্রামকক্ষের সঙ্গেই থাকছে শৌচালয়।
পুরুষদের জন্য ১১ টি এবং মহিলাদের জন্য ১৮ টি রেস্ট রুম থাকছে। এদিকে এই ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই ওয়েবেল এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সার্ভে করেছে। এতে চিকিৎসক নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা আরও মজবুত হবে বলেই মেডিকেল কর্তৃপক্ষের দাবি।
মেডিক্যালের সহকারি সুপার সৌনক কুমার ঘোষ বলেন, “মেডিক্যাল চত্বর ও আব্দুলঘাটা ক্যাম্পাস মিলিয়ে ২০০ টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের জন্য ১৫ টি রেস্টরুমে বাইয়োমেন্ট্রিক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেম বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। যার জেরে চিকিৎসকের বিশ্রাম নেওয়ার রুমটি আরও বেশি সুরক্ষিত থাকবে।”