North Dinajpur: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটাও দেয়নি’, অভাবী মায়ের ঘরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে; বেঁধে রাখেন শিকলে

Rupak Ghosh | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 08, 2024 | 1:41 PM

Uttar Dinajpur: রীতা দাস জানান, তিনি আবাসের ঘর পাননি, পাননি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এদিকে স্বামী চলে যাওয়ার পর সংসার চালানো এক প্রকার চ্য়ালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রীতাদেবী বলেন, "সাত-আট বছর ধরে ওর এরকম সমস্যা। চার বছর ধরে বেঁধে রাখি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার টাণ্ডার কিচ্ছু করে দেয়নি। অনেকবার আবেদন করেছি।"

North Dinajpur: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটাও দেয়নি, অভাবী মায়ের ঘরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে; বেঁধে রাখেন শিকলে
অসহায় মা ছেলের সঙ্গে।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

রায়গঞ্জ: স্বামী প্রয়াত হয়েছেন। ঘরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। অর্থাভাবে ছেলের চিকিৎসাও ঠিকমত করাতে পারেন না। অসহায় মা যে হাতে ধরে ছেলেকে বড় করেছেন, সেই হাতেই ছেলের পায়ে এখন শিকল পরিয়ে রাখেন। ভয় পান, পাছে চোখের আড়ালে ছেলে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়! এ এক মায়ের যন্ত্রণার বারোমাস্যা। রায়গঞ্জ ব্লকের বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার ঘটনা। টিভিনাইন বাংলা এই খবর তুলে ধরেছিল। এরপরই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। ছেলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তাও তুলে দেন দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা রীতা দাসের হাতে।

রীতাদেবীর ছেলে ইন্দ্রজিৎ দাস। বছর ২৫ বয়স। দশম শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করেছেন তিনি। তবে আসতে আসতে মানসিক ভারসাম্য হারাতে শুরু করেন। এদিক ওদিক বেরিয়ে যাওয়া, হইচই অনেক কিছুই করে ফেলেন। কখন কী ঘটে যায়, সব সময় বুক কাঁপে মায়ের। এক প্রকার বাধ্য হয়েই শিকলের বেঁধে রাখেন ছেলের পা।

রীতা দাস জানান, তিনি আবাসের ঘর পাননি, পাননি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এদিকে স্বামী চলে যাওয়ার পর সংসার চালানো এক প্রকার চ্য়ালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রীতাদেবী বলেন, “সাত-আট বছর ধরে ওর এরকম সমস্যা। চার বছর ধরে বেঁধে রাখি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার টাণ্ডার কিচ্ছু করে দেয়নি। অনেকবার আবেদন করেছি।”

কৃষ্ণ কল্যাণী আসেন এই পরিবারের কথা শুনতে। যদিও এই এলাকা রায়গঞ্জ বিধানসভার মধ্যে পড়ে না। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার মধ্যে। তবে ব্লক রায়গঞ্জ। কৃষ্ণ কল্যাণীর কানে যেতে আসেন তিনি। বলেন, “সংবাদমাধ্যমেই জানতে পারি। যতটা পারব করব, আমি পাশে আছি।” মায়ের আর্জি একটাই দু’মুঠো ভাত অন্তত নিশ্চিত করুক কেউ, ছেলেটার চিকিৎসা হোক।

Next Article