‘প্রিয়দা’র নামে ভোট চাইলেন অধীর
"আমি কালিয়াগঞ্জে অথচ, প্রিয়দা নেই, এটা ভাবতেই পারিনা! বিগতদিনে যে ভাবে কালিয়াগঞ্জের মানুষ ভোট দিয়েছে প্রিয়দার জন্য, এবারেও সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর জন্য সে ভাবেই ভোট দেবেন।''
উত্তর দিনাজপুর: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি (Priya Ranjan Dasmunsi)-র নামে কালিয়াগঞ্জে ভোট চাইলেন অধীর চৌধুরী (Adhir Coudhury)।
শুক্রবার কালিয়াগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মহেন্দ্রগঞ্জ নাটমন্দির ময়দানে সেই সভা থেকে কালিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির প্রসঙ্গে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায় অধীরকে।
চার বছর আগে প্রয়াত কংগ্রেস নেতার আত্মার শান্তি কামনা করে অধীর বলেন, “আমি কালিয়াগঞ্জে অথচ, প্রিয়দা নেই, এটা ভাবতেই পারিনা! বিগতদিনে যে ভাবে কালিয়াগঞ্জের মানুষ ভোট দিয়েছে প্রিয়দার জন্য, এবারেও সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর জন্য সে ভাবেই ভোট দেবেন।”
২০০৮ সালে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। তার পর AIIMS থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে। দীর্ঘ নয় বছর কোমাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন মস্তিষ্কে রক্তসরবরাহ ছিন্ন হয়েছে তাঁর। ট্র্যাকিয়োস্টোমি টিউবের মাধ্যমে তিনি শুধু নিঃশ্বাসটুকু নিচ্ছিলেন। অবশেষে ২০১৭ সালে প্রয়াত হন প্রিয়রঞ্জন। একুশের ভোটে সেই অবিসংবাদী কংগ্রেস নেতার নামে ভোট চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
প্রিয় স্মরণে ভোটদানের আবেদন করে এদিন ফের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে নিশানা করেন অধীর। তীব্র আক্রমণ শানান বিজেপিকেও। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামে মমতা হারছেন। তার পর শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, “যে সেনাপতি দিয়ে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন। সেই সেনাপতি এখন বিজেপির হয়ে আপনার বিরুদ্ধে লড়ছে।”
পাশপাশি বাংলায় বিজেপির উত্থানের পিছনে সরাসরি মমতাকে দায়ী করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কটাক্ষ, “মোদীর চেয়ে বড় হিন্দু প্রমাণ করতে গিয়ে দিদি এখন মন্দিরে যাচ্ছেন, চণ্ডীপাঠ করছেন। দুর্গাপুজোয় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিচ্ছেন, পুরোহিত ভাতাও দিচ্ছেন।”
আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুনের উপর হামলা, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
অধীরের অভিযোগ, তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতি করছে। তিনি বলেন, বাংলায় সংযুক্ত মোর্চার সরকার ক্ষমতায় এলে লকডাউনে কাজ হারানো পরিবারের জন্য চালু করা হবে ন্যূনতম আয় বা ন্যায় প্রকল্প। যা উনিশের লোকসভা ভোটেও কংগ্রেসের ইস্তাহারে জায়গা পেয়েছিল। বাংলার যুবকদের কর্মসংস্থানেও তাঁরা দিশা দেখাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।