উত্তর দিনাজপুর: দণ্ডিকাণ্ডের (Dandi Incident) প্রতিবাদে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ্ ডেকেছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই বনধ্ পালনের ডাক দিয়েছে এই সংগঠন। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর বারবারই বলেছে, কোনও বনধ্কে তারা সমর্থন করে না। তবে সোমবারের বনধ্ নিয়ে সুর নরম শাসকদলের। দক্ষিণ দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগদানের জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দলেরই এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। প্রদীপ্তা চক্রবর্তী নামে ওই নেত্রী জেলা মহিলা তৃণমূলের মাথায় ছিলেন। এখন তিনি পদচ্য়ুত। তবে বিজেপি তাঁর শাস্তির দাবি তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবারের বনধ্ নিয়ে নরম সুর শোনা গেল রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার গলায়। তিনি বলেন, এটা মানুষের ক্ষোভ। তাই তাঁরা রাস্তায় নামতেই পারেন। তবে সমাধান আলোচনায়। আলোচনার পথ কখনও বন্ধ হয় না।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে রবিবার এক জনসভা ছিল তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজার। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলকে বলা হয়, কোনও বনধ্ হবে না। কিন্তু মানুষ যদি তাঁদের ক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় চলে আসেন, তাহলে আমরা সেই ক্ষোভের কথা নিশ্চই শুনব। আর আমরাও জানাব, আদিবাসীদের ভাতা থেকে পড়াশোনা করার সুযোগ সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছেন, কেন্দ্র করেনি।” অন্যদিকে আদিবাসীদের বনধ নিয়ে আলোচনা হবে, আলোচনার দরজা খোলা থাকবে বলেও জানান তিনি।
একইসঙ্গে শশী পাঁজার বক্তব্য, “তৃণমূল সেই মহিলা সভানেত্রীকে সরিয়ে দিয়েছে পদ থেকে। এ নিয়ে ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এটা মানুষের ক্ষোভের জায়গা, সেটা আমরা শুনব। আর ক্ষোভ থাকলে রাস্তায় নামবেন, কথা হবে।” সোমবারের বনধ্কে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। তারা সর্বতোভাবে এই ধর্মঘটীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। বিজেপির রায়গঞ্জ শহর সভাপতি অভিজিৎ জোশী বলেন, “এই বনধ্ আমরা অবশ্যই সমর্থন করি। শশী পাঁজাও বকলমে সমর্থন করেই গেলেন।”