কলকাতা: সোমবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আকাশ ঢেকেছে মেঘে। ছিটে ফোঁটা বৃষ্টিও হয়েছে মহানগরীর কোনও কোনও স্থানে। তবে সোমবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এটি প্রাক বর্ষার বৃষ্টি। বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিবেশ রাজ্যে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টির সঙ্গে দু-এক জায়গায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও থাকবে।
আজ বা কাল উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। যদিও জলপাইগুড়িতে মৌসুমী বায়ু বা বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন ৭ই জুন। বাংলা এবার বর্ষার আগমন কিছুটা দেরিতে হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা ঠিক কবে ঢুকবে তা এখনও জানায়নি আবহাওয়া দফতর।
সোমবার সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামিকাল সেই বৃষ্টি আরও বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোথাও ভারী বৃষ্টি কোথাও বা অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মালদা এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপমাত্র বেশি থাকবে। এমনকি তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে সেখানে।
দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাতেও গরম এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি পিছু ছাড়বে না। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। আজ কলকাতা হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে। কাল বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে।
কলকাতায় আকাশ আজ থাকবে আংশিক মেঘলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। কলকাতা শহরে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৭ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৫১ থেকে ৮৮ শতাংশের মধ্যে।