বেজিং: বর্ষশেষে আতঙ্ক হয়ে ফিরে এসেছে করোনা (COVID-19)। চিনে (China) হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষ পার করে কোটিতে পৌঁছেছে। করোনায় একদিনে মৃতের সংখ্যাও হাজার পার করে গিয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে শি জিনপিংয়ের সরকার। আগে জিরো কোভিড নীতি কঠোরভাবে কার্যকর করা হলেও, বর্তমানে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়ে সেই নিয়মও কার্যকর করতে পারছে না সরকার। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই আরও এক বিপদের মেঘ ঘনিয়েছে চিনের উপরে। বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে রক্তের অভাব (Blood Crisis)। বহু রোগী প্রাণও হারাচ্ছেন এই সঙ্কটের কারণে।
চিনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল কতটা বেহাল, তা করোনা ফিরে আসতেই ফের একবার উঠে এসেছে। চিনের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলগুলির হাসপাতালে দেখা গিয়েছে রক্তের সঙ্কট। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্যানডং প্রদেশে ব্লাড সেন্টারে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দুই ধরনের রক্তের গ্রুপের চরম সঙ্কট দেখা গিয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে রক্তদানের জন্য।
চিনের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে রক্তদানে কেউ এগিয়ে আসছেন না। কলেজগুলিতে ছুটি পড়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদেরও অনুরোধ করা যাচ্ছে না রক্তদানের জন্য। রিপোর্ট অনুযায়ী, লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বহু হাসপাতালেই। সেই হাসপাতালগুলির তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র তিনদিনের মতো রক্ত জমা রয়েছে। তাও গুরুতর অসুস্থ যারা বা দুর্ঘটনায় আহতদেরই রক্ত দেওয়া সম্ভব। অন্যান্য চিকিৎসার জন্য, যেমন কোনও অস্ত্রোপচার বা ডায়ালিসিসের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত নেই।
এই পরিস্থিতির মুখে পড়েই বিভিন্ন প্রদেশের স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে স্বেচ্ছায় রক্তদানের আর্জি জানানো হয়েছে। এদিকে, করোনা সংক্রমণের কারণে রক্ত সংগ্রহও অত্যন্ত কঠিন হয়ে গিয়েছে। যে অঞ্চলেই করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে, সেটিকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করে দেওয়ায় সেই অঞ্চলগুলি থেকে রক্ত সংগ্রহ করে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বেজিং, সাংহাই সহ বড় বড় শহরগুলিতেও ধীরে ধীরে রক্তের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে।