দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের মুখে দাঁড়িয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা স্বীকার করে নিল, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনে ‘রেয়ার’ সাইড এফেক্ট রয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড ভ্যাক্সিন বিশ্বজুড়েই বিক্রি হয়েছে। কোভিশিল্ড নামে যা পরিচিত। এই ভ্যাকসিন নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় ৫০টির বেশি মামলা রয়েছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে।
এক মহিলা স্নায়ুরোগের শিকার হন বলে অভিযোগ তোলেন। জেমি স্কট নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছিলেন, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে তিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন নেন। এরপর তাঁর ব্রেন ইনজুরি হয়। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধছে, ব্রেন ইনজুরি হচ্ছে।
এর আগে অ্যাস্ট্রেজেনেকা দাবি করেছিল, তাদের ভ্যাকসিনের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তারা বিশ্বাস করে না। সম্প্রতি ইউকে হাইকোর্টে অ্যাস্ট্রেজেনেকা জানিয়েছে, খুব বিরল হলেও তাদের ভ্যাকসিনে ফ্রম্বোসাইটোফেনিয়া সিনড্রম বা টিটিএস হতে পারে। সাধারণত বিরল সিনড্রম হলে, ব্লাড ক্লট হয়, প্লেটলেট কাউন্টও কমে যায়।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আনভিসা প্রথম এই টিকার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উষ্কে দিয়েছিল। সে সময় অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা যৌথভাবে করোনার প্রতিষেধক তৈরি করছিল। সেই প্রতিষেধক নেওয়ায় এক স্বেচ্ছাসেবক প্রাণ হারায় বলে দাবি করেছিল ওই সংস্থা।