বাংলাদেশ: সরকার পতনের পর কোনও ক্রমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তিনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি আওয়ামি লীগ সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যাও বটে। এবার সেই হাসিনার বাক স্বাধীনতাতেই হস্তক্ষেপ করতে চায় বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শেখ হাসিনার কিছু বক্তব্য সামনে এসেছে। ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ সামনে এনেছেন তিনি। ‘অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউনূসকে। বাংলাদেশে মন্দির, গির্জা এবং ইসকনের মন্দিরে যেভাবে হামলা হয়েছে, তারও কড়া নিন্দা করেছেন হাসিনা। এরপরই হাসিনার বক্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করতে চাইছে ইউনূস সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নবগঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শেখ হাসিনার কোনও ধরনের বক্তব্য যাতে সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার না করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বক্তব্য দিয়েছেন তাও সব মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ও তথ্য মন্ত্রককে সেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ হাসিনার কোনও বক্তব্যই আর কার্যত শোনা যাবে না বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান এই আবেদন করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করা হয়েছে। তাদের যুক্তি হল, গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লীগের একাধিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাক্তন শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যার মতো অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই কারণেই নাকি হাসিনার মুখ বন্ধ করতে চাইছেন তাঁরা।