Bangladesh Shuts Ports: বড় সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের! বন্ধ হয়ে গেল বাংলা লাগোয়া দু’টি স্থলবন্দর, খাঁড়া পড়ল মিজোরাম সীমান্তেও
Yunus's Bangladesh Shuts Ports: এছাড়াও কমিটির সুপারিশেই হবিবগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এই তিনটি বন্দরের মধ্যে চিলাহাটি কোচবিহার হলদিবাড়ি লাগোয়া, দৌলতগঞ্জের বন্দরটি নদিয়া লাগোয়া এবং তেগামুখ স্থলবন্দর মিজোরাম সীমান্তের কাছে অবস্থিত।

নয়াদিল্লি: ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া তিনটি স্থলবন্দর একেবারের মতো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে স্থলপথ হয়ে পণ্য ঢোকায় ‘নো-এন্ট্রি’ চাপিয়েছে নয়াদিল্লি। আর সেই ঘটনার কয়েক মাস পরেই এই সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার।
ঢাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, রংপুরের নীলফামারিতে চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার সেই নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের দফতরে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বৈঠকও বসেছিল। সেখানেই বন্দরগুলির জন্য নির্ধারিত কমিটি পরিষদকে এই বন্ধের সুপারিশ করে। যাতে সম্মতি জানায় পরিষদ।
এছাড়াও কমিটির সুপারিশেই হবিবগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এই তিনটি বন্দরের মধ্যে চিলাহাটি কোচবিহার হলদিবাড়ি লাগোয়া, দৌলতগঞ্জের বন্দরটি নদিয়া লাগোয়া এবং তেগামুখ স্থলবন্দর মিজোরাম সীমান্তের কাছে অবস্থিত।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
ঘটনার সূত্রপাত গতবছর। হাসিনার সরকারের পতনের পর বন্দর সংক্রান্ত একটি ছয় সদস্য়ের কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের মোট ৮টি বন্দরের সমীক্ষা করতে বলা হয় তাদের। সেই ভিত্তিতেই কয়েক মাসের মধ্য়েই ওই বন্দরগুলির আর্থিক রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। তাতে সাফ বলে দেওয়া হয় ভারতীয় সীমান্ত লাগোয়া এই তিনটি স্থলবন্দর ‘অকার্যকর’। মূলত, সীমান্ত এলাকায় উন্নতমানের পরিকাঠামো না থাকার কারণেই এই বন্দরগুলি দিয়ে বাণিজ্য করা কার্যত অসম্ভব। যার জেরে কোষাগারে পড়ছে ঘাটতি। অলাভজনক হয়ে বোঝায় পরিণত হয়েছে এই বন্দরগুলি।
এদিন ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “এই বন্দরগুলো গুটি কয়েক নেতাদের জন্য চলত। কিন্তু তা থেকে সরকারের কোষাগারে বিরাট কিছু লাভ ঢুকত না। উল্টে বাড়ত ঘাটতি।”
