ঢাকা: শনির সন্ধ্য়ায় মিটল বৈঠক। রবিতে বড় সিদ্ধান্ত। ব্যাঙ্ককের বিমস্টেক অধিবেশন থেকে ফিরেই অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা, আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন মহম্মদ ইউনূস। মূলত, ট্রাম্পের ‘শুল্কাঘাতে’ খেই হারিয়ে, কৌশল তৈরিতেই ডাকা হয়েছিল সেই বৈঠক।
এবার সেই প্রসঙ্গে রবিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্য়াকাডেমিতে আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ইউনূসের তদারকি সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শুল্কাঘাতের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে পদক্ষেপ নেবে তারা।
এদিন প্রেস সচিব বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে সরকারের পক্ষ থেকে দু’টি চিঠি পাঠানো হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। একটি যাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সদর দফতরে। অন্যটি যাবে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টিটিভের কাছে।’ মূলত, বাংলাদেশের বাণিজ্যিক স্বার্থের কথা ভেবেই এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে জানালেন প্রেসসচিব।
ট্রাম্পের এই ‘শুল্কাঘাত’ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রবিবার বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘এই শুল্কের ফলে অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়বে, তা সামাল দেওয়া কঠিন। তদারকি সরকারে এই প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি। আমরা আশাবাদী শুল্ক নিয়ে তৈরি হওয়া অস্বস্তি কাটানো যাবে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার অর্থাৎ ২ তারিখ বিশ্বের প্রতিটি দেশের উপর শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই মর্মে একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই তালিকায় দেখা গিয়েছে, বাংলাদেশের উপর মোট ৩৭ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। জানা গিয়েছে, আগামী ৯ তারিখ থেকে লাগু হবে এই শুল্ক নীতি। সেদেশে বাংলাদেশিদের বস্ত্রের এক চেটিয়া ব্যবসা। যা এই শুল্ক নীতির জেরে আগামী দিনে মার খেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই তার আগেই চিঠি পাঠিয়ে আলোচনায় বসতে চায় বাংলাদেশের তদারকি সরকার।