বাংলাদেশ: চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলা পিছিয়ে গিয়েছে এক মাস। আপাতত জেল থেকে বেরতে পারছেন না তিনি। শান্ত হচ্ছে না বাংলাদেশের পরিস্থিতিও। ঢাকার জন্য বার্তা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরই মধ্যে পাক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বৈঠক বাড়িয়েছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বদলে যেতে পারে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ছবিটা।
রাষ্ট্রপতিকে কি অপসারণ করার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ? বাংলাদেশের চারদিকে চলছে এই চর্চা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি পদে বসানো হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার চেয়ার থেকে সরিয়ে সেখানে বসতে পারেন খালেদা জিয়া! এই বিষয়ে খুব সতর্ক ভাবে এগোতে চাইছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টারা।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও চিনের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। সেই বৈঠকই এই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামি লীগের মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান একসময়ের হাসিনা ঘনিষ্ঠ ও তাঁর নিকট আত্মীয়। ফলে এই বিষয়ে জল্পনা ছিলই। তাছাড়া একাধিক বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মতের মিল হচ্ছে না উপদেষ্টাদের । বাংলাদেশের একটি সূত্র বলছে হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে যেহেতু ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে তাই অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বর্তমান অবস্থা যে কোনও দিকে ঘুরে যেতে পারে। আর এইসব বিষয় চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানদের কপালে ।