পটুয়াখালি: নববধূকে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে আসার পথে পটুয়াখালিতে (Patuakhali) বরযাত্রী বোঝাই ট্রলার ডুবির প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরেও হদিশ মেলেনি বর, বরের মা সহ ৪ জনের। খরস্রোতা তেতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর সংযোগস্থলে অনেক খোঁজাখুঁজির পর এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, নববধূকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পটুয়াখালির দশমিনা উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে বরযাত্রী বোঝাই ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর নাম নাম লিপি বেগম (৩০)। তিনি বর রাব্বি হাওলাদারের পিসি। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, বর রাব্বি হাওলাদার, বরের মা সেলিনা আক্তার এবং ৫ বছর ও ৮ বছর বয়সি দুই শিশু খাদিজা ও মানসুরা। তাঁদের খোঁজে এখনও নদীতে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালির দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান।
ট্রলার ডুরির ঘটনায় আক্রান্ত রাব্বি হাওলাদারের স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে রাব্বি হাওলাদারের সঙ্গে চরবোরহান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় নববধূ সুমাইয়া সহ ১৪ থেকে ১৫ জন আত্মীয়ের সঙ্গে ট্রলারে নদী পেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রাব্বি। ট্রলারটি আউলিয়াপুর লঞ্চঘাটের কাছাকাছি এলে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে। তারপর টাল সামলাতে না পেরে খরস্রোতা তেতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর সংযোগস্থলে যাত্রী সহ ট্রলারটি ডুবে যায়। তারপর কয়েকজন সাঁতরে পারে উঠলেও অনেকেই নদীতে তলিয়ে যান। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল নদীতে নেমে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হন নববধূও। কিন্তু, বর, বরের মা সহ ৫ জনের হদিশ মেলেনি। এরপর ডুবুরি নামিয়ে নদীতে তল্লাশি চালিয়ে এদিন সকালে বরের পিসির দেহ উদ্ধার হলেও বাকিদের হদিশ মেলেনি।
পটুয়াখালির দশমিনা উপজেলা কার্যকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় যাত্রীদের উদ্ধারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দমকল বাহিনী ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।