Bomb scare: অধ্যক্ষের নামে কলেজে এল ‘আম ভর্তি’ বিশাল বস্তা, পরীক্ষা করতেই চক্ষু চড়কগাছ…
Bangladesh College: অধ্যক্ষের অফিস ঘরের দরজা ঘেঁষে একটি বিরাট বস্তা পাওয়া যায়। কলেজের সকলের নজর এড়িয়ে কেউ বস্তাটি রেখে দিয়ে যায়। ওই বস্তার উপরে লেখা ‘প্রিন্সিপাল বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর-আম্রপালি ৩০ কেজি।'
ঢাকা: তিন-চারদিন ধরেই কলেজ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসছিল। এবার একেবারে অধ্যক্ষের নামে কলেজে এসে পৌঁছল বিরাট একটি বস্তা। সেই বস্তার উপরে অধ্যক্ষের নাম, ঠিকানা সহ ‘আম্রপালির আম’ লেখা স্টিকার থাকলেও বস্তাটি পরীক্ষা করতেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ! ‘আম্রপালির আম’ স্টিকার দেওয়া বস্তার ভিতর হদিশ মিলেছে শক্তিশালী বোমার। শনিবার দুপুরে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) নাটোরে বঙ্গবন্ধু সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ (Banga bandhu Technical College)। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, ছাত্র-ছাত্রী থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও পুলিশ ও ব়্যাবের তৎপরতায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে মোতায়েন পুলিশ ও ব়্যাবের বিশাল বাহিনী।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নাটোরের গুরুদাসপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের অফিস ঘরের দরজা ঘেঁষে একটি বিরাট বস্তা পাওয়া যায়। কলেজের সকলের নজর এড়িয়ে কেউ বস্তাটি রেখে দিয়ে যায়। ওই বস্তার উপরে লেখা ‘প্রিন্সিপাল বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর-আম্রপালি ৩০ কেজি।’ বস্তায় আম রয়েছে বলে স্টিকারে লেখা থাকলেও আচমকা এই ধরনের ঘটনায় সন্দেহ হয় অধ্যক্ষ সইদুল ইসলামের। তিনি অন্য শিক্ষকদের সহায়তায় পুলিশ ও ব়্যাব-কে খবর দেন। তারপর র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল বাহিনী ঘণ্টা খানেক ধরে সার্কিট ডিটেক্টর দিয়ে বস্তাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, সেটির ভিতরে শক্তিশালী বোমা রয়েছে। কলেজের ভিতর একেবারে অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিশালাকার বস্তার বোমার হদিশ মিলতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় গোটা কলেজ চত্বরে।
ব়্যাবের রাজশাহী ইউনিটের প্রধান ল্যান্স কর্পোরাল লাবু খন্দকার জানান, তাঁদের কাছে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার মতো যন্ত্রপাতি নেই। তাই উচ্চ ক্ষমতার যন্ত্রপাতি ও বোমা বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর জন্য ঢাকায় র্যাব হেডকোয়ার্টারে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ দল পৌঁছলেই বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হবে। খবর পেয়েই কলেজ চত্বরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুরুদাসপুর থানার আধিকারিক। তবে কে বা কারা, কেন এভাবে বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল কলেজে বোমা পাঠাল, তা স্পষ্ট নয়।
অধ্যক্ষ সইদুল ইসলাম জানান, কলেজটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে মামলা চলছে। যার জেরে সম্প্রতি কয়েকজন কলেজটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তাকে। ফলে এভাবে বস্তার ভিতরে বোমা পাঠানোর ঘটনায় ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের হাত থাকতে পারে বলে তাঁর অনুমান। গোটা ঘটনার শুরু হয়েছে বলে গুরুদাসপুর থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।