ঢাকা: গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রার পারদ একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে বাংলাদেশে। সেই তীব্র দাবদাহের মধ্যে পাল্লা দিয়ে চলছে লোডশেডিং। আগামী ৪-৫ দিন আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। অন্যদিকে, কয়লা আর জ্বালানির অভাবে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোডশেডিং প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। জনগণের মধ্যে দিন দিন বাড়ছে ক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিলেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। কী কারণে এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়, তার ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রী।
গত রবিবার সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন হতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। এবার নতুন তথ্য সামনে আনলেন সে দেশের প্রতিমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “তীব্র গরম এবং সেইসঙ্গে লোডশেডিং-এর কারণে সবার কষ্ট হচ্ছে, এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত লোডশেডিং-এর পিছনে বেশ কিছু কারণ আছে, যা সবারই জানা প্রয়োজন।” এবার দু সপ্তাহ সময় চাইলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রীর দাবি, খুব শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই স্বস্তি ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার জেরেই গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস ওয়েলসহ সবরকমের জ্বালানির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্কট এখনও চলছে। পাশাপাশি ডলারের নিরিখে টাকার দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিতে অনেকটা প্রভাব পড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে মন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার দিনরাত পরিশ্রম করে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। প্রায় ১০০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পরিষেবা পান বাংলাদেশে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় নজিরবিহীন ঘটনা বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের এই পোস্টের নীচে অনেকেই নানাবিধ মন্তব্য করেছেন। তবে তার মধ্যে নেতিবাচকই বেশি। এর আগে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ভুগতে থাকা বাংলাদেশে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। প্রবল গরম এবং লোডশেডিং-এর জেরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৮ জুন পর্যন্ত দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।